ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ সচিবকন্যার

সিআইডির এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হুমকি দিয়ে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করার অভিযোগ এনেছেন সাবেক এক সচিবের মেয়ে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Jan 2016, 02:31 PM
Updated : 21 Jan 2016, 06:22 PM

কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং সিটি করপোরেশনের দুই কর্মকর্তাকে নির্যাতন নিয়ে সমালোচনার মুখে থাকা পুলিশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করেন সাবিহা রহমান মীনা।

যার বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেছেন, পুলিশের সেই কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম বর্তমানে চট্টগ্রাম সিআইডিতে পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

২০০১ সালের ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে সংবাদ সম্মেলন করেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পী পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব মীনা।

তিনি বলেন, মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করার সূত্র ধরে তার সঙ্গে তখন পুলিশ কর্মকর্তা ফখরুলের পরিচয় ঘটে।

“আমি তখন মোহাম্মদপুরের ইষ্টার্ণ হাউজিংয়ে পরিবার নিয়ে থাকতাম। একদিন আমাদের গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়লে মোহাম্মদপুর থানায় যাই। তখন ওই থানার উপ-পরিদর্শকের দায়িত্বে ছিলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

“ওই ঘটনার পর আমাদের গাড়িচালককে চাকরি থেকে বাদ দিলে সে আমাদেরকে হুমকি দিচ্ছিল। ওই বিষয়ের সুরাহা করে দিয়েছিলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। তারপর থেকে সে কারণে-অকারণে আমার বাসায় আসত।”

মোহাম্মদপুর ছেড়ে উত্তরা গেলেও ওই পুলিশ কর্মকর্তা পিছু ছাড়ছিলেন না দাবি করে এই নারী বলেন, “বারবার সে আমার সঙ্গে প্রেম করতে চাইলেও আমি তাকে মেনে নিতে পারতাম না। এক সময় জোর করে সে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।”

এতদিন পর অভিযোগ করার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “তখন ছোট ছিলাম, কাউকে বলতে পারিনি। তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে সে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিত।”

ওই পুলিশ কর্মকর্তা এখনও পিছু ছাড়ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।

“আমার পেছনে লোক লাগিয়ে রাখে যেন আমি স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করতে না পারি। আমি আর সহ্য করতে পারছি না। ওর শাস্তি চাই।”

এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সিআইডি কর্মকর্তা ফখরুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।”

তবে ২০০১ সালে মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করার সূত্র ধরে ওই নারীর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল বলে স্বীকার করেন তিনি।