এটা আমাদের অর্জন: প্রসিকিউশন

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের ‘দক্ষতা’ সমালোচনা থাকলেও মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি বহাল রেখে সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে নিজেদের ‘অর্জন’ বলে মনে করেন প্রসিকিউশন দলের অন্যতম সদস্য তুরিন আফরোজ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Jan 2016, 05:31 AM
Updated : 6 Jan 2016, 07:48 AM

বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাবনায় হত্যা, ধর্ষণ এবং বুদ্ধিজীবী গণহত্যার দায়ে দেড় বছর আগে নিজামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চও ট্রাইব্যুনালের দণ্ডাদেশ বহাল রাখে।

জামায়াতের আমির নিজামীর ফাঁসি বহাল থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করে প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ বলেন, “আমরা খুশি তো বটেই। ধীরে ধীরে সব বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী মানবতাবিরোধী অপরাধীর মৃত্যুদণ্ডের রায় পাচ্ছি আমরা।”

ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের ‘দক্ষতা’ নিয়ে অনেকে সমালোচনা করলেও এখন এই রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা একটা বড় ‘অর্জন’ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “যতই অযোগ্যতা-অদক্ষতা থাকুক না কেন, (রায় পক্ষে আসা) এটা আমাদের অর্জন।”

যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কাজ শুরুর পর বিভিন্ন সময়ে দেশে-বিদেশে এর কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। তদন্ত সংস্থার যোগ্যতা নিয়েও বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন তুলে তিরষ্কার করেছে খোদ ট্রাইব্যুনালও।

২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের বিচার প্রক্রিয়াকে ‘ত্রুটিপূর্ণ ও পক্ষপাতদুষ্ট’বলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।  

সে সময় সংস্থাটির বিভিন্ন অভিযোগ খণ্ডন করে বক্তব্যও দিয়েছিলেন তুরিন আফরোজ।  

চার দশক আগে যুদ্ধাপরাধের একটি অভিযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেন চুটুর সাজা হওয়ার পরও ট্রাইব্যুনালের মামলায় নতুন করে একই অভিযোগ যুক্ত করায় গতবছর আরেকটি মামলার রায়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে ‘অযোগ্য’ বলে তিরস্কার করে ট্রাইব্যুনাল ।

সবশেষ রাজাকার দেলাওয়ার হোসাইন সাইদীর পূর্ণাঙ্গ রায়ে এই যুদ্ধাপরাধীর অভিযোগ তদন্তে তদন্ত কর্মকর্তার গাফিলতি ছিল বলে উল্লেখ করা হয়।

তদন্ত সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের নিরপাত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে রায়ে বলা হয়, অযোগ্য তদন্ত কর্মকর্তাকে এ ধরনের তদন্ত কাজে রাখা ঠিক হবে না।