নিজামী সাহেব যেভাবে চাইবেন: খন্দকার মাহবুব

মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে সর্বোচ্চ আদালতের চূড়ান্ত রায় পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Jan 2016, 05:07 AM
Updated : 6 Jan 2016, 02:43 PM

বুধবার রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

আপিলের রায় পর্যালোচনার (রিভিউ) আবেদন করবেন কি না জানতে চাইলে জামায়াত আমির নিজামীর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব বলেন, “নিজামী সাহেব যদি পর্যালোচনা করে আমাদের পরবর্তী কর্মকাণ্ড, অর্থাৎ রিভিউ করতে বলেন, অবশ্যই আমরা রিভিউ করব। তবে এই মুহূর্তে এটা বলা যাচ্ছে না।

“নিজামী সাহেব এও ভাবতে পারেন, পূর্ববর্তী যারা রিভিউ করেছেন, তাদের কোনো ফল হয়নি; আর রিভিউ করে কী লাভ হবে। এটা সম্পূর্ণ আমাদের যে ক্লায়েন্ট, তার ওপর নির্ভর করছে।”

বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাবনায় হত্যা, ধর্ষণ এবং বুদ্ধিজীবী গণহত্যার দায়ে চারদলীয় জোট সরকারের মন্ত্রী নিজামীর ফাঁসির রায় দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। আপিল শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ বুধবার ওই সাজাই বহাল রাখে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব বলেন, “আদালত যখন বিচার করে, তখন আইনজীবী হিসেবে ন্যায় বিচারই পায়। আমার যে ক্লায়েন্ট, তিনি এটা কীভাবে নেবেন- সেটাই বিষয়।”

নিজামীর আইনজীবী বলেন, “আদালতে যে সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে তা সাজানো সাক্ষ্য। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর যারা এ অপরাধে জড়িত ছিল তাদের বিচার না করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের সহযোগী হিসেবে আসামির মৃত্যুদণ্ড হতে পারে না- এ কথাই আমরা বলেছি।”

আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা যে সাক্ষ্য-প্রমাণ আছে বিচারকের কাছে তা তুলে ধরেছি।.. বিচারক যে দণ্ড দিয়েছেন আইনজীবী হিসেবে আমাদের সেটিই মেনে নিতে হবে।… ভবিষ্যত ইতিহাস বলবে যে সাক্ষ্য-প্রমাণগুলো দেওয়া হয়েছে, সত্যিকার অর্থে সেগুলো সঠিক ছিল কি না।”

ট্রাইব্যুনালের রায়ে নিজামীর বিরুদ্ধে আটটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, যার মধ্যে চারটি মৃত্যুদণ্ড এবং অপর চারটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ আসে।

বুধবার চূড়ান্ত রায়ে আপিল আংশিক মঞ্জুর করে তিনটিতে মৃত্যুদণ্ড এবং দুটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে বাকি তিন অভিযোগ থেকে নিজামীকে খালাস দিয়েছে আপিল বিভাগ।