সোমবার ওই বস্তিতে উচ্ছেদ অভিযান চালায় জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ।
বস্তির বাসিন্দারা বলছেন, তাদের বলা হয়েছিল মঙ্গলবার বস্তি উচ্ছেদ করা হবে। রোববার রাতে হঠাৎ করে জানানো হয়, সোমবার সকাল ৮টার মধ্যে বস্তি খালি করে দিতে হবে।
আর কর্তৃপক্ষ বলছে, বস্তি সংলগ্ন মার্ক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নামে প্রায় ২৭ কাঠা জমি বরাদ্দ হওয়ায় বস্তি উচ্ছেদ করতে এসেছেন তারা। নিয়ম মেনেই উচ্ছেদ চালাচ্ছেন তারা।
মিরপুর ১৪ নম্বরের মার্ক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পাশের সিএনজি স্টেশনের পাশ দিয়ে সরু একটি গলি ধরে একটু হাঁটলেই বাগানবাড়ী বস্তি।
এই বস্তিতে প্রায় ৮ বছর ধরে থাকছেন রিকশাচালক ইউসুফ আলী।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত রাতে (রোববার) মাইকিং করে বলা হয়, সকাল ৮টার মধ্যে সকলে যেন মালামাল সরিয়ে ফেলে। সকাল ৯টায় সরকারি লোকজন এসে বস্তি খালি করতে শুরু করে।”
আরেক রিকশাচালক আওয়াল মিয়া বলেন, “মাসের এ সময় ঘর পাওয়া যায় না। সকাল থেকে ঘর খুঁজছি, কিন্তু সবাই বলছে ১ তারিখে যেতে।”
উচ্ছেদ হয়ে স্ত্রীকে নিয়ে পথে বসেছেন চা এর দোকানি মো. নুরুজ্জামান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অল্প পুঁজিতে ফুটপাতে চা এর দোকান করি। এখন কী করব-কোথায় যাব? ফুটপাতে যে থাকব, সে উপায়ও নেই। পুলিশ থাকতে দিবে না।”
নিজের ঘরের জিনিস পত্র সরিয়ে নিচ্ছিলেন বস্তির আরেক বাসিন্দা বকুলী বেগম।
“আমরা অনেক বলেছিলাম, আরেকটা একটা দিন সময় দেন। কিন্তু উনারা কোনো কথাই শুনল না,” বলেন তিনি।
একই পরিস্থিতিতে পড়েছেন বস্তির বাসিন্দা ফাতেমা বেগম ও সালমান।
উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ডেপুটি কমিশনার নুরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই জমিটি মার্ক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নামে বরাদ্দ করা।
“এখানে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বস্তি বানিয়ে লোকজন থাকছিল। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আমরা এখানে উচ্ছেদ চালাচ্ছি। উচ্ছেদ শেষ করে জমি মার্ক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।”
বস্তিবাসীর সময় চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “সব কিছু নিয়ম মেনেই হয়েছে। আগে থেকে তাদের নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কয়েক দফা মাইকিং ও করা হয়েছে।”