বৃহস্পতিবার তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডের সামনে 'তেজগাঁও শিল্প এলাকা, মহাখালী বাস টার্মিনাল ও তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন সড়ককে পার্কিং মুক্ত ঘোষণা’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ সহযোগিতা চান।
তিনি বলেন, “আমি আপনাদের (জনগণের) হয়ে কথা বলি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হয়ে এখানে দায়িত্ব পালন করতে এসেছি। ক্লিন, গ্রিন, যানজটমুক্ত ঢাকা গড়ার যে কথা বলছি, তার কাজ শুরু হয়ে গেছে। এ কাজে সকল ঢাকাবাসীর সহযোগিতা চাই।”
গত ২৯ নভেম্বর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ট্রাকস্ট্যান্ডের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে গিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা কার্যত অবরুদ্ধ থাকার পর বিপুল সংখ্যক পুলিশ-র্যাবের পাহারায় বেরিয়ে আসেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র।
সে দিন যে স্থানে ‘অবরুদ্ধ’ হয়েছিলেন সেই স্থানেই আয়োজিত এই সমাবেশে আনিসুল বলেন, “সেদিনের উচ্ছেদ ট্রাক স্ট্যান্ডের বিরুদ্ধে ছিল না। আমরা চেষ্টা করছি কোথায় এই ট্রাকস্ট্যান্ড রিলোকেড করা যায়। এটি করতে কিছুটা সময় লাগবে।”
“আপনারা আমাকে সহযোগিতা না করলে এই রাস্তা পেতাম না। তাই মেয়রের পক্ষ থেকে আপনাদের কৃতজ্ঞতা। মেয়র সকলকে নিয়ে কাজ করেন, আপনারা মেয়রের কথা না মানলে এই শৃঙ্খলা কখনই আসতো না।”
এ সময় ট্রাকস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় ফুলের বাগান তৈরি করার ঘোষণা দেন আনিসুল হক।
তিনি বলেন, “আশপাশের স্থাপনাগুলোর মালিকদের বলেছি দেওয়াল পরিষ্কার করে দিতে। এখানে আমরা বাগান বানাব, দেওয়ালে পেইন্টিং করা হবে। এখন আপনারা এখানে বৈশাখি মেলা করতে পারবেন, বিজয় দিবস উদযাপন করতে পারবেন। এই ইতিহাস আপনারা সৃষ্টি করেছেন।”
ট্রাক স্ট্যান্ডের ভেতরে দুটি আধুনিক পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হবে বলেও জানান ঢাকা উত্তরের এই মেয়র।
সমাবেশে ঢাকাকে ‘তিলোত্তমা নগরী’ হিসেবে গড়ে তুলতে মেয়র আনিসুল হকের প্রতি সমর্থন জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙা এবং আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ফারুক খান।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, “একই সাথে আমি অনুরোধ করব, এখানে যেসব শ্রমিক ও মালিক ভাইয়েরা জড়িত আছেন আপনি তাদের বিষয়েও চিন্তা করবেন। তাদের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন এখানে এবং মহাখালীতে আধুনিক স্ট্যান্ড হবে, আপনি তাদের সে স্বপ্ন পূরণ করবেন।”
সমাবেশ শুরুর আগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন।
বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরাও মিছিল নিয়ে উপস্থিত হন।