নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্প, ভিজিএফ কার্ড নয়

পৌর নির্বাচনী এলাকায় ভোটের সময়ে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন, অনুদান, বরাদ্দ বা অর্থ ছাড় না দিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2015, 05:13 AM
Updated : 2 Dec 2015, 05:14 AM

সেই সঙ্গে নির্বাচনপূর্ব সময়ে ভিজিডি ও ভিজিএফ কার্ড দেওয়া এবং ত্রাণ বিতরণ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার বিভাগকে।

গত ২৪ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ পৌর নির্বাচনের যে তফসিল ঘোষণা করেছেন, সে অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর ২৩৫ পৌরসভায় ভোট হবে।

ইসির সহকারী সচিব রাজীব আহসান জানান, তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোট পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় প্রকল্প অনুদান, ফলক উম্মোচনসহ উন্নয়ন বরাদ্দ, ত্রাণ বিতরণ ও অর্থ ছাড়ে বাধা-নিষেধ রয়েছে। বিষয়টি যথাযথভাবে অনুসরণে চার মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।

কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেন, “উন্নয়নমূলক প্রকল্প, অর্থছাড়, বিভিন্ন কার্ড বিতরণে ভোটাররা প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কায় বিধিতে ভোটের সময় এসব বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া রয়েছে। নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতেই এ উদ্যোগ।”

আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনপূর্ব সময়ে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভুক্ত কোনো প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উম্মোচন করা যাবে না। সরকারি সুবিধাভোগী ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা’ এসব প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানকে অনুদান, বরাদ্দ বা অর্থ ছাড় করতে পারবেন না।

পাশাপাশি পৌরসভার মেয়র বা কাউন্সিলর বা অন্য কোনো পদাধিকারী এই সময়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় উন্নয়নমূলক কোনো প্রকল্প অনুমোদন বা ইতোপূর্বে অনুমোদিত কোনো প্রকল্পে অর্থ ছাড় করতে পারবেন না।

খাদ্য এবং মহিলা ও শিশু, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো আলাদা চিঠিতে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভিজিড, ভিজিএফ কার্ড ইস্যু ও ত্রাণ বিতরণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।

ইসির অনুমতি ছাড়া নির্বাচন কর্মকর্তাদের বদলি নয়

ভোট পরবর্তী ১৫ দিন পর্যন্ত নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ইসির অনুমতি ছাড়া বদলি না করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দেওয়া হচ্ছে।

ইসির সহকারী সচিব রাজীব আহসান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এই চিঠি দেওয়া হবে।

রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং, প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, নির্বাহী ও বিচারকি হাকিম এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন।

নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি নির্বাচন সংক্রান্ত কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি না পাওয়া পর্যন্ত ইসির অধীনে থাকেন।

সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচনের সময় ইসিকে সব নির্বাহী কর্তৃপক্ষ সহায়তা দেবে। নির্বাচন কর্মকর্তাদেরও ইসির অনুমতি ছাড়া বদলি না করার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নির্দেশনা জারি করবে।