পূর্বাচল প্রকল্পের কাজ শেষ হচ্ছে ২০১৭ সালে

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের কাজ ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Dec 2015, 04:37 PM
Updated : 1 Dec 2015, 04:37 PM

মঙ্গলবার পূর্বাচল প্রকল্প এলাকার অফিসে কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় বিষয়টি জানানো হয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

সভায় জানানো হয়, প্রকল্পের বিভিন্ন ধরনের কাজের মধ্যে প্রায় ৬০ ভাগ শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট কাজ পুরোদমে চলছে। তবে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ও ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কাজ শেষ হতে ২০১৮ সালের জুন মাস লেগে যাবে।

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।

 তিনি বলেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে পূর্বাচলে কমপক্ষে ৪০ ভাগ বাসিন্দার আবাসনের সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। একটি প্রকল্প অনন্তকাল চলতে পারে না। এর শুরু যেমন হয়েছে, শেষ সময়ও জনগণকে জানাতে হবে।

 “পূর্বাচলের বিদ্যুৎ লাইন হবে মাটির নিচ দিয়ে। এখানকার বর্জ্যব্যবস্থাপনা, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সবই নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় গড়ে তোলা হবে। আবাসিক জ্বালানির জন্য এলপি গ্যাসের ব্যবস্থা করা হবে।”

২৫ হাজার ১৬টি আবাসিক প্লটের পাশাপাশি পূর্বাচলে ৬০ হাজার আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। পরিবেশবান্ধব এ শহরে সবুজ চত্ত্বর, বাগান, বনাঞ্চলসহ সব সুযোগ-সুবিধা রাখা হবে বলে জানান মন্ত্রী।

ছয় হাজার ২২৭ দশমিক ৩৬ একর জমির ওপর গড়ে তোলা পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পটি ১৯৯৬ সালে গ্রহণ করা হলেও ভূমি উন্নয়নের কাজ শুরু করা হয় ২০০৪ সালে।

প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে সাত হাজার ৭৮২ দশমিক ১৪ কোটি টাকা। চলতি বছরে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রকল্পের বিভিন্ন ধরনের কাজের মধ্যে জরিপ, পরিকল্পনা, জমি অধিগ্রহণের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে।

প্রকল্পের ভূমি উন্নয়নের কাজ ৮০ ভাগ, পূর্বাচল সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ ৬০ ভাগ, ৩২০ কিলোমিটার অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণের কাজ ২৫ ভাগ, কুড়িল ফ্লাই ওভার নির্মাণের কাজ ৮৫ ভাগ, সার্ফেস ড্রেন ও ক্রস ড্রেনের কাজ  ৩৮ ভাগ, সেন্ট্রাল আইল্যান্ড নির্মাণের কাজ ২৫ ভাগ, সিমানা পিলার স্থাপনের কাজ ৫০ ভাগ, ভেতেরর রাস্তায় ৬১টি ব্রিজ নির্মাণের কাজ ৫০ভাগ, নদীর পাড় রক্ষার কাজ ৬০ ভাগ শেষ হয়েছে।

৪৭৭ দশমিক ২০ একর জমি নিয়ে ৪৩ কিলোমিটার লেক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।

পর্যালোচনা সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ, রাজউকের চেয়ারম্যান জি এম জয়নাল আবেদীনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।.