পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের দাবি

যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে পাকিস্তানের বক্তব্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল মন্তব্য করে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানিয়েছে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Dec 2015, 02:54 PM
Updated : 1 Dec 2015, 02:54 PM

বাংলাদেশের স্বাধীনতার চার দশকেরও বেশি সময় পরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর গণহত্যার বিষয়টি অস্বীকার  ‘আরেকটি ঐতিহাসিক পাপ’ বলেও মন্তব্য এসেছে তাদের পক্ষ থেকে।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব হারুন হাবীব বলেন, “বাংলাদেশের ঐতিহাসিক যুদ্ধাপরাধ বিচার শুরু হওয়ার পর থেকেই পাকিস্তান সরকার ও দেশটির বিভিন্ন মহল বিরূপ সমালোচনা করে আসছে, যা শুধু নিন্দনীয়ই নয় একইসঙ্গে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল।

“তাদের ধারাবাহিক বক্তব্য-বিবৃতিতে এটিই প্রমাণ করে যে, ৪৪ বছর পরও বাংলাদেশের স্বাধীন-সার্বভৌম অস্তিত্ব মেনে নিতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। কাজেই এমন একটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখার কোনো যৌক্তিকতা থাকতে পারে না।”

হারুন হাবীব বলেন, “পাকিস্তান সরকারের এই দায় অস্বীকারের ঘটনাটি এমন সময়ে ঘটেছে যখন সে দেশেরই বিবেকবান নাগরিকগণ বারংবার তাদের দেশের সেনাবাহিনীর হাতে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য পাকিস্তান সরকারকে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানিয়েছেন।”

পাকিস্তানের গণহত্যার দায় অস্বীকার শুধু ইতিহাসের ‘চরম বিকৃতি নয়, নির্লজ্জ মিথ্যাচার’ বলেও মন্তব্য করেন সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের মহাসচিব।

তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে হানাদার পাকিস্তান বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা যে বর্বরতা চালিয়েছে, পাকিস্তান সরকার অস্বীকার করলেও তা সারা বিশ্বেই বিংশ শতাব্দীর নিকৃষ্টতম গণহত্যা ও নারী নির্যাতন হিসেবে স্বীকৃত ও গ্রন্থিত।

“এমনকি পাকিস্তানের সরকার কর্তৃক নিয়োজিত হামিদুর রহমান কমিশনের রিপোর্টেও এই ভয়াবহ গণহত্যার দায় স্বীকার করা হয়েছে এবং দোষী সামরিক ব্যক্তিদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান সে বিচার করেনি।”