পাকিস্তানের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো সম্পর্ক রাখবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা চত্বরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় শোভাযাত্রা ও সমাবেশে এ দাবি জানান তিনি।
‘যুদ্ধাপরাধী মুক্ত বাংলাদেশ চাই’ এই স্লোগানে শোভাযাত্রাটি বের করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
পরে স্বাধীনতা চত্বরে মুক্তির গান, বিজয়ের গান পরিবেশন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এবং বিজয় অর্জিত হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে পাকিস্তানিরা বিভিন্ন ধরনের অন্যায়-অত্যাচারে লিপ্ত ছিল ও ঠাণ্ডা মাথায় অত্যন্ত নির্মমভাবে বুদ্ধিজীবীসহ অনেক সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে।
“একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ ছিল বিশ্ব সভ্যতার বিরুদ্ধে অপরাধ। আজ তারা নির্লজ্জ মিথ্যাচার করছে। অথচ পাকিস্তান কর্তৃক গঠিত হামিদুর রহমান কমিশনেই গণহত্যার দালিলিক তথ্য প্রমাণ রয়েছে।”
“সার্ক থেকে পাকিস্তানের সদস্যপদ বাতিল করা হোক।”
মানবাধিকারের প্রবক্তা জাতিসংঘ থেকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র পাকিস্তানকে বহিষ্কারের সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়ারও দাবি জানান তিনি।
পাকিস্তানের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো সম্পর্ক রাখবে না ঘোষণা দিয়ে আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ছাত্র-প্রতিনিধি পাকিস্তানে যাবে না।”
বঙ্গবন্ধুর চেতনায় সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, “বঙ্গবন্ধু সত্যের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তার আদর্শ হল দেশকে ভালোবাসতে হবে, মানুষকে ভালোবাসতে হবে, আমাদেরও এ লক্ষ্যে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সহিদ আকতার হুসাইন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দীনসহ ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই বিজয় শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।