পিলখানা মামলা: আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুরু

পিলখানা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিলুপ্ত বিডিআরের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) সৈয়দ তৌহিদুল আলমের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন শুরু ‌করেছে আসামি পক্ষ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Nov 2015, 02:53 PM
Updated : 30 Nov 2015, 02:53 PM

সোমবার বিচারপতি মো. শওকত হোসেন নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চে ১৪১তম দিনের শুনানিতে আসামি পক্ষের বক্তব্য উপস্থাপন শুরু হয়।

বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন-বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।

এর আগে রোববার পিলখানা হত্যা মামলায় ১৫২ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ডেথ রেফারেন্সের সমর্থনে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ করে।

সোমবার আসামি পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম। রাষ্ট্র পক্ষে ডেপুটি অর‌্যর্টনি জেনারেল কে জাহিদ সারওয়ার কাজল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল গাজী মো. মামুনুর রশীদ ও মো. আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

তৌহিদের আইনজীবী আমিনুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তালিকার প্রথমে থাকা ডিএডি তৌহিদের (দণ্ডিত) আপিলের পক্ষে ও ডেথ রেফারেন্সের বিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেছি। মঙ্গলবারও শুনানি হবে।”

ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজল বলেন, “আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের পর রাষ্ট্র পক্ষ এর প্রতি উত্তর দেবে।”

আসামির সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই মামলার ডেথ রেফারেন্সের উপর হাই কোর্টে শুনানি শুরু হয় চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি।

শুনানির ১২৪তম দিনে ১ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ পেপারবুক (মামলার বৃন্তান্ত ও রায়সহ বই) উপস্থাপন শেষ করলে আদালত ৮ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য উপস্থাপনের দিন রাখে।

ধার্য তারিখে ডেথ রেফারেন্সের সমর্থনে রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন শুরু করে, যা ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত চলে।

২০০৯ সালে তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।

ওই ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় জজ আদালত।

রায়ের পর ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) হাই কোর্টে আসে। রাষ্ট্র পক্ষ জানায়, দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ১৩৮ জন আপিল করে। জেল আপিল করে ১৩০ আসামি। এছাড়া ৬৯ জনকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষ আপিল করে।এসব শুনানির জন্য তালিকায় রয়েছে।

এর আগে শুনানিতে ৩৬ খণ্ডের ৩৫ হাজার ১১৩ পৃষ্ঠার পেপারবুক আদালতে উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

পেপার বুকে মামলার এজাহার, অভিযোগপত্র, জব্দ তালিকা, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন, সাক্ষীদের জবানবন্দি, জেরা ও নিম্ন আদালতের রায় পর্যায়ক্রমে সাজানো থাকে।