বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন

দেড় হাজার মিটার বা তার চেয়ে বড় দৈর্ঘ্যের সেতু-টানেল ও ফ্লাইওভারসহ এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সেতু বিভাগের ওপর ন্যস্ত করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৫ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Nov 2015, 10:32 AM
Updated : 30 Nov 2015, 10:32 AM

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সোমবার এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, এক হাজার ৫০০ মিটার বা তার চেয়ে বড় দৈর্ঘ্যের সেতু ও টানেল, টোল সড়ক, ফ্লাইওভার, এক্সপ্রেসওয়ে ও অ্যালিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ সেতু বিভাগের আওতায় থাকবে বলে আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে।

এছাড়া সেতু কর্তৃপক্ষের আওতাধীন স্থাপনা ও সংরক্ষিত অংশের জন্য এর ব্যবহাকারী কোনো সংস্থা-ব্যক্তি বা যানবাহনের ওপর ফি বা টোল ধার্য ও আদায়ের দায়িত্বও কর্তৃপক্ষের আওতায় থাকবে।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সেতু বিভাগের অধীনস্ত একটি স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা। আর সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০০৮ সালে গঠিত হয় সেতু বিভাগ।

আইনের খসড়ায় বলা হয়, কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম পরিচালনার ভার থাকবে প্রশাসন বোর্ডের ওপর।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীকে চেয়ারম্যান এবং সেতু বিভাগের সচিবকে ভাইস চেয়ারম্যান করে ১৫ সদস্যের এ বোর্ড গঠিত হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রশাসন বোর্ড কর্তৃপক্ষের আওতাধীন স্থাপনাগুলো নির্ধারিত শর্তে ও সময়ের জন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে ইজারা দিতে পারবে।

"বোর্ডকে সেতু কর্তৃপক্ষের তহবিলের অংশ বিশেষ বিভিন্ন লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করার ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে।"

খসড়ায় কর্তৃপক্ষের একজন নির্বাহী পরিচালক রাখার কথা বলা হয়েছে, যাকে সরকারের  নির্ধারিত নিয়মে নিয়োগ দেওয়া হবে।

শফিউল আলম বলেন, “নির্বাহী পরিচালক বোর্ডের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নসহ কর্তৃপক্ষের কাজ পরিচালনা করবেন। তহবিলের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কাজের দায়িত্বও তার ওপর থাকবে।”

কর্তৃপক্ষের আওয়াতাধীন স্থানে কোনো ব্যক্তি যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করলে, সীমানা প্রাচীর বসালে, কোনো সংকেত বা বিজ্ঞপ্তি ধ্বংস বা অপসারণ করলে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে খসড়ায়।

আর কেউ কর্তৃপক্ষের কোনো আদেশ অমান্য করলে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা যাবে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।