সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পাঁচদিন ব্যাপী এই শান্তিযাত্রার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। শান্তিসঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
কবিদের সংগঠন ‘কবিতা বাংলা’ ও ‘বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব’ যৌথভাবে এই শান্তিযাত্রা আয়োজন করেছে। কক্সবাজারের দরিয়ানগর কবিতা চত্বরে নানা আনুষ্ঠানিকতা মধ্যে দিয়ে ৪ ডিসেম্বর শেষ হবে এই শান্তিযাত্রা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, “সময়ের প্রযোজনে এই যাত্রা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সব জায়গায় এক ধরনের অস্থিরতা আমরা দেখছি। এই অস্থিরতা শুধু বাংলাদেশে নয়, এটা আমরা দেখছি প্যারিসে, বৈরুতে, নাইজেরয়িাতে, ফিলিস্তিনে, ইরাকসহ বিভিন্ন স্থানে।
“এই অস্থিরতা সৃষ্টিকারীরা কোনো ধর্মের বা কোনো দেশের নয়; তারা একটি অন্ধকারের শক্তি, যারা আলোকে পরাজিত করতে চায়। কিন্তু ইতিহাস বলে, অন্ধকারের চেয়ে আলোর পাল্লাটাই সব সবসময় ভারি।”
সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, “এই ধরনের কবিতার শান্তিযাত্রার ধারণা সব মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক। মানুষের মনে দাগ কাটবে, হৃদয়ের গভীরে যাবে ততই মানুষ আলোর দিকে যাবে।”
“মানুষের মধ্যে পরিপূর্ণ আত্মিক ও মানবিক জাগরণের মাধ্যমে এই মর্ত্যলোকে অচিরেই আগত-অনাগত সকল কালের মানুষের জন্য শান্তির স্বর্গ হয়ে উঠুক আমাদের এই মহাপৃথিবী।”
কবি নূরুল হুদা জানান, কবিতার শান্তিযাত্রায় বাংলাদেশ, ভারত, জার্মানি, নেপাল, মেক্সিকো ও থাইল্যান্ডের ১৮ জন কবি-সাহিত্যিক অংশ নিচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে শান্তিযাত্রা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক কবি কামরুল ইসলাম, ‘কবিতা বাংলা’র সাধারণ সম্পাদক কবি ফরিদ আহমেদ দুলাল বক্তব্য দেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে ফুল ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ কবি-সাহিত্যিক-লেখকদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কক্সবাজারের দরিয়ানগরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে ‘কবিতার শান্তিযাত্রা’।