সোমবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় জননিরাপত্তা ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দা হোসনে আরা সাত বছর আগের এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।
সর্বোচ্চ সাজার আদেশ পাওয়া চার আসামি হলেন- নুরুল আলম, আবুল কালাম, মো. কাউসার ও মো. রুবেল (বস্তি রুবেল)। এদের মধ্যে কাউসার ছাড়া বাকিরা পলাতক।
যাবজ্জীবন সাজার আদেশ হয়েছে আরিফুল ইসলাম ও এস এম নইমউদ্দিন ওরফে রুবেল নামের দুজনের। তাদের মধ্যে আরিফ পলাতক।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ মে চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট এলাকা থেকে প্রথমে বায়েজিদ বোস্তামি ও পরে আনোয়ারার মোহছেন আউলিয়ার মাজারে যাওয়ার কথা বলে মো. ইউসুফ নামের ওই চালকের অটোরিকশাটি ভাড়া নেয় আসামিরা।
জননিরাপত্তা ট্রাইব্যুনালের পিপি মো. জাহাঙ্গীর আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আনোয়ারার চাতরি চৌমুহনী এলাকায় মাথায় আঘাত করে এবং শ্বাসরোধে ইউসুফকে খুন করেন আসামিরা।
“এরপর কাউসার অটোরিকশাটি চালিয়ে নিয়ে বোয়ালাখালী উপজেলার পশ্চিম গোমদণ্ডি এলাকায় গিয়ে বিএস ঘাটা ব্রিজের নিচে ইউসুফের লাশ ফেলে যায়। পরে অটোরিকশা নিয়ে আসামিরা সাতকানিয়া চলে যায়।”
অটো রিকশার রঙ পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে রাতে সাতকানিয়ায় দোকানে গিয়ে রঙ কিনতে গেলে স্থানীয়রা সন্দেহের বশে কাউসারকে আটক করে। পরে মোট পাঁচজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
পরে অটোরিকশার মালিক সাতকানিয়া থেকে তার বাহন উদ্ধার করেন।
ইউসুফের খালাত ভাই হাতেম তাই ঘটনার পরদিন বোয়ালখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
আদালত ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি এ মামলায় অভিযোগ গঠন করে।
২৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের জবানবন্দি শুনে বিচারক সোমবার রায় ঘোষণা করেন বলে এ ট্রাইব্যুনালের পিপি মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান।