বাংলাদেশে সন্ত্রাসের পেছনে ইসরাইল: ফিলিস্তিনি দূত

বাংলাদেশে ‘সন্ত্রাসবাদের’ পেছনে ইসরাইলের ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকায় ফিলিস্তিনের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ইউসুফ এস রামাদান।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Nov 2015, 02:11 PM
Updated : 29 Nov 2015, 02:11 PM

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর সহিংসতার মধ্যে রোববার আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিন সংহতি দিবসে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ শান্তি পরিষদ আয়োজিত এক সভায় বক্তব্যে তিনি এই অভিযোগ করেন।

আরবিতে দেওয়া রামাদানের বক্তব্য অনুবাদ করে দেন ফিলিস্তিন দূতাবাসের অনুবাদক ইব্রাহিম হেলাল।

রামাদান স্বাধীন ফিলিস্তিনের পক্ষে অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করার জন্য এবং শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকারের গৃহিত সকল পদক্ষেপের প্রতি আমাদের সমর্থন জানাচ্ছি।

“তবে জোর দিয়ে আরও বলতে চাই, এই সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মূলে রয়েছে ইসরাইল ও তার দোসররা, যারা শান্তিপ্রিয় মানুষের জন্য ত্রাস ও সন্ত্রাসের সৃষ্টি করে।”

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে পাশে রেখে বক্তব্য দেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত। মন্ত্রী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন।

বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে করা মন্তব্যটি যথাযথভাবে অনুবাদ হয়েছে কি না- অনুষ্ঠানের পর তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হলে রামাদান ‘হ্যাঁ’ সূচক জবাব দেন।

বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলীও বক্তব্য রাখেন।

১৯৪৭ সালের জাতিসংঘে গৃহীত প্রস্তাবে ফিলিস্তিনিরা ‘চরম অন্যায়’র শিকার হয়েছিল দাবি করে  রামাদান বলেন, “এর মূল বক্তব্য ছিল, ফিলিস্তিন ভেঙে দুই রাষ্ট্র করা, যার বড় অংশ থাকবে ইহুদিদের দখলে, আর ছোট অংশটি থাকবে আরবদের দখলে।

“অথচ তখন আরবদের সংখ্যা ইহুদিদের তুলনায় অনেক বেশি ছিল। আর এভাবেই জাতিসংঘ তার মালিকানাভুক্ত নয়, এমন একটি ভূখণ্ড তার প্রকৃত অধিকারীকে বঞ্চিত করে অন্য একটি জাতিকে দেয়। অথচ এই ভূখণ্ডে বঞ্চিত জাতিটির অধিকার খ্রিস্টপূর্ব ৪ হাজার বছর পূর্ব থেকেই স্বীকৃত।”