পিলখানা মামলা: রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ

পিলখানা হত্যা মামলায় ১৫২ আসামির ডেথ রেফারেন্সের সমর্থনে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ, এখন আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুরু হবে। 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Nov 2015, 02:10 PM
Updated : 29 Nov 2015, 02:10 PM

রোববার বিচারপতি মো. শওকত হোসেন নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চে ১৪০তম দিনের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন শেষ করে।

আসামি পক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, “তালিকার প্রথমে থাকা ডিএডি তৌহিদের (দণ্ডিত) আপিলের পক্ষে ও এর ডেথ রেফারেন্সের বিপক্ষে সোমবার যুক্তি উপস্থাপন শুরু করব।”

এই বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজল। তাদের সঙ্গে আছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল গাজী মো. মামুনুর রশীদ ও মো. আসাদুজ্জামান। আসামি পক্ষে আইনজীবী এস এম শাহজাহানও রয়েছেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জেনারেল জাহিদ সারওয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শুনানিতে বলেছি, এটি জঘন্যতম অপরাধ। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি ‍মৃত্যুদণ্ডই প্রাপ্য, ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) অনুমোদন করা হোক।”

আসামির সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই মামলার ডেথ রেফারেন্সের ওপর হাই কোর্টে শুনানি শুরু হয় চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি।

শুনানির ১২৪তম দিনে ১ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ পেপারবুক (মামলার বৃন্তান্ত ও রায়সহ বই) উপস্থাপন শেষ করলে আদালত ৮ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের দিন রাখে।

ধার্য তারিখে ডেথ রেফারেন্সের সমর্থনে রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন শুরু করে, যা রোববার শেষ হয়।

২০০৯ সালে তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।

ওই ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় জজ আদালত।

রায়ের পর ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) হাই কোর্টে আসে। দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ১৩৮ জন আপিল করে। জেল আপিল করে ১৩০ আসামি। এছাড়া ৬৯ জনকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে।এসব শুনানির জন্য তালিকায় রয়েছে।

এর আগে শুনানিতে ৩৬ খণ্ডের ৩৫ হাজার ১১৩ পৃষ্ঠার পেপারবুক আদালতে উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

পেপার বুকে মামলার এজাহার, অভিযোগপত্র, জব্দ তালিকা, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন, সাক্ষীদের জবানবন্দি, জেরা ও নিম্ন আদালতের রায় পর্যায়ক্রমে সাজানো থাকে।