শওকত আনোয়ার বিলুপ্ত দৈনিক বাংলার চিফ রিপোর্টার ছিলেন। তারপর দৈনিক মাতৃভূমিতেও একই পদে কাজ করেছিলেন তিনি।
তিনি দৈনিক পাকিস্তান এবং পরে দৈনিক বাংলায় দীর্ঘদিন কাজ করেন। খেলাঘর ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সংগঠক শওকতের ভাই কবীর আনোয়ার চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে খ্যাতিমান।
রাজধানীর হলি ফ্যামেলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন শওকত আনোয়ার। সেখানে রোববার ভোরে তার মৃত্যু হয় বলে ছেলে মিরাজ আনোয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
তার বয়স হয়েছিলো ৭৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
নিউ ইস্কাটন জামে মসজিদে জানাজা শেষ বিকালে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
শওকত আনোয়ারের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার মৃত্যুতে জাতি এক নির্ভিক ও নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিককে হারাল।
“শিশু সংগঠন ও শিশুদের কল্যাণে তার অবদান দেশ ও জাতি আজীবন স্মরণ করবে।”
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী এক শোকবার্তায় শওকত আনোয়ারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নবনির্বাচিত সভাপতি আলতাফ মাহমুদ ও মহাসচিব ওমর ফারুক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আতিকুল হক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদও শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
ছাত্রজীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত শওকত আনোয়ার দৈনিক পাকিস্তানে শিক্ষানবিশ রিপোর্টার হিসেবে কাজ শুরু করেন।
দৈনিক পাকিস্তান স্বাধীনতা যুদ্ধের পর দৈনিক বাংলায় রূপান্তরিত হলে বিলুপ্তি পর্যন্ত এই সংবাদপত্রেই ছিলেন তিনি। রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রতিবেদন হিসেবে কাজ করার পর চিফ রিপোর্টার হন তিনি।