জবাবদিহির ধারা বাতিল: স্থগিতাদেশ পাননি দুদক চেয়ারম্যান 

দুদক কমিশনারদের জবাবদিহির বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত আইনের ১২(২) ধারা বাতিলে হাই কোর্টের দেওয়া রায় স্থগিতের আবেদন করে আপিল বিভাগের সাড়া পাননি কমিশনের চেয়ারম্যান।

সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Nov 2015, 04:45 AM
Updated : 29 Nov 2015, 05:10 AM

দুদক চেয়ারম্যানের আবেদন শুনে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার সদসের আপিল বেঞ্চ রোববার তাতে ‘নো অর্ডার’ দিয়েছে।

ওই ধারা চ্যালেঞ্জ করে যিনি হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করেছিলেন, সেই আইনজীবী কামাল হোসেন নিজেই আপিল বিভাগে শুনানিতে ছিলেন।

আদেশের পর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এই আদেশের ফলে এখন হাই কোর্টের রায়ই বহাল থাকল।”

আপিল বিভাগে দুদক চেয়ারম্যানের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান। আর দুদক কমিশনারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও এস এম আবদুর রউফ।

আদেশের পর খুরশীদ আলম বলেন, “আমরা রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পেলে নিয়মিত ‘লিভ টু আপিল’ করব।”

২০০৪ সালর দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ১২ (২) ধারায় বলা হয়, “চেয়ারম্যানের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণে অন্যান্য কমিশনারগণ তাহাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন এবং সেইরূপ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের নিকট কমিশনারগণের জবাবদিহিতা থাকবে।”

ওই ধারা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. কামাল হোসেন চলতি বছরের জুনে এই রিট আবেদন করেন। এরপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১৪ জুন হাই কোর্ট রুল দেয়।

দুদক আইনের ১২ (২) ধারা স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনের মৌলিক নীতি ও আইনের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় কেন তা বাতিল করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।

ওই রুলের উপর শুনানি করে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাই কোর্ট বেঞ্চ গত ১৯ নভেম্বর রায় দেয়।

জবাবদিহির বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত আইনের ১২(২) ধারা স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনের মৌলিক নীতি ও আইনের তিনটি ধারার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ঘোষণা করে তা বাতিল করা হয় রায়ে।

দুদক চেয়ারম্যান ওই রায় স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে গেলে গত ২৩ নভেম্বর বিচারক তা শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। তারই ধারাবাহিকতায় রোববার বিষয়টি আপিল বিভাগে ওঠে।