শহীদ মিলন দিবস পালিত

নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হল শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ২৫তম শাহাদাত বার্ষিকী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Nov 2015, 12:12 PM
Updated : 27 Nov 2015, 12:12 PM

শুক্রবার দিবসটি উপলক্ষে স্মরণসভা ও কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন।

১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর তৎকালীন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্বে সামরিক জান্তার পেটোয়া বাহিনীর গুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের কাছে নিহত হন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন যুগ্মমহাসচিব ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ডা. মিলন।

সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ চত্বরে তার সমাধিতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি নেতৃত্বে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

কাছাকাছি সময়ের মধ্যে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, শহীদ মিলনের পরিবারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন শহীদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।

পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি’র সামনে ‘শহীদ ডা. মিলন’ স্মৃতিস্তম্ভেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।

মিলনের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মেডিকেল কলেজে মিলনের সমাধিস্থলে সকাল ১১টার দিকে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) আলোচনা সভার আয়োজন করে।

বিএমএ সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক সাংসদ সদস্য  মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামারুল হাসান, বিএমএ সহ-সভাপতি আব্দুর রউফ সরকার, শহীদ মিলনের মা সেলিনা আক্তার, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহদাত হোসেন, বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সনাল প্রমুখ।

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, “খালেদা জিয়া নব্বইয়ের পর জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়, সেটা গণতান্ত্রিক আন্দোলরে একটা কালো দাগ। এখনো তিনি জঙ্গিবাদের মুখোশ পড়ে আছেন। তিনি দেশের ভেতরে থাকনে আর বাইরে ষড়যন্ত্র  করেই চলছেন।

“আমাদের লড়াই এখনও শেষ হয় নাই। জঙ্গি আর খালেদাকে আলাদা করে দেখার কোন দরকার নেই। খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের মুখোশ পড়া জঙ্গি।”

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, “খালেদা জিয়া জঙ্গিবাদের মদদ দিচ্ছেন। দেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছেন। এই ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করতে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”

চিকিসৎকদেরে উদ্দেশে তিনি বলেন, “শহীদ ডা. মিলন যে  উদ্দেশ্য নিয়ে শহীদ হয়েছে তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আপনারদের কাজ করতে হবে।”

শহীদ মিলনের মা সেলিনা আক্তার বলেন, “গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের হত্যাকাণ্ডের কোনো বিচার হয়নি। এটা এক শহীদ ছেলের মায়ের কাছে ভীষণ দুঃখের। আবার সেই স্বেরাচারী সেনানায়ককে এই গণতান্ত্রিক দেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করা হয়েছে, সেটা আরও বেশি দুঃখজনক।”