বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সাম্য মঞ্চের’ ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে ঘটনার তদন্তে প্রশাসনের আন্তরিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।
গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান সরকারের একমাত্র ছেলে সাম্যকে তার এক বন্ধু গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর থেকে নিখোঁজ ছিল সে।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বন্ধুসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন সাম্যের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।
গোবিন্দগঞ্জের তৎকালীন ওসি এ বি এম জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আসামি পক্ষের প্রতি পক্ষপাতের অভিযোগ উঠলে তাকে প্রত্যাহার করা হয়।
সাম্য গোবিন্দগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তার লাশ উদ্ধারের পর গোবিন্দগঞ্জ থানায় ৩০২, ২০১, ৩০২৮ ধারায় হত্যা মামলা করেন পৌর মেয়র আতাউর।
এই মামলায় আটজন গ্রেপ্তার হলেও আসামি পৌর কাউন্সিলর জয়নাল আবেদিন, জাহাঙ্গির ও আলামিনকে এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে সাম্যের বাবা আতাউর বলেন, তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ পরিকল্পিতভাবে সাম্যকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাম্য মঞ্চের আহ্বায়ক ও গোবিন্দগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান চৌধুরী বলেন, জনতা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আটজনকে ধরে পুলিশে দিলেও অন্য সন্দেহভাজনদের ‘রহস্যজনক’ কারণে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।
সম্প্রতি শিশু রাজন ও শিশু রাকিব হত্যাসহ এ ধরনের কয়েকটি শিশু নির্যাতনের ঘটনায় দ্রুত বিচারের মাধ্যমে রায় দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে সাম্য হত্যামামলাটিও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাজমুল ইসলাম লিটন, গোবিন্দগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক সানোয়ার হোসেন আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, গোবিন্দগঞ্জ থানার এসআই কল্যাণ চক্রবর্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আসামিদের মধ্যে তিনজন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
“বাকি আসামিরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”