বাংলাদেশে মুক্তমনা লেখক, ব্লগার, ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও বিদেশি নাগরিকদের ওপর ইসলামি চরপন্থিদের হামলারও নিন্দা জানানো হয়েছে ওই প্রস্তাবে।
‘ধর্মীয় মৌলবাদ, অসহনশীলতা ও চরমপন্থিদের সহিংসতার সঙ্গে গণমাধ্যমের উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণও বাড়ছে বলে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা মনে করেছেন।
গণমাধ্যমের ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি সরকারের সমালোচনা করে লিখেছেন এমন সাংবাদিক ও প্রকাশকদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে প্রস্তাবে।
এছাড়া সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও দায়মুক্তি নিয়ে ২০১২ সালে গৃহীত জাতিসংঘের কর্মপরিকল্পনা অনুসরণ ও বাস্তবায়নের জন্যও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে এতে।
প্রস্তাবটি বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে ৫৮৬-৩১ ভোটে পাস হয়। ভোটদানে বিরত ছিলেন ২৫ জন সদস্য।
প্রস্তাবটি আরোপ করার ক্ষেত্রে কোনো বাধ্য-বাধকতা থাকবে না। সুনির্দিষ্ট এই বিষয়গুলোতে বাংলাদেশ সরকারের নজর কাড়তে এই প্রস্তাব গ্রহণ করেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা।
ইউরোপের ২৮ জাতির এই ব্লক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী অংশীদার। অস্ত্র বাদে সব ধরনের বাংলাদেশি পণ্য সেখানে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পায়।
এর আগে দশম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালের নভেম্বরে এবং পরের বছর ৫ জানুয়ারি ভোটের পর বাংলাদেশ নিয়ে দুটি প্রস্তাব গৃহীত হয় ইউরোপীয় পার্লামেন্টে। এছাড়া গত সেপ্টেম্বরেও বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘন নিয়ে আরেকটি প্রস্তাব গ্রহণ করে তারা।