দেশজুড়ে বইমেলার পরিকল্পনা

পাঠক ও পাঠ্যাভ্যাস বাড়ানোর মাধ্যমে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের মানসে সারাদেশে বইমেলার আয়োজন করতে যাচ্ছে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2015, 11:20 AM
Updated : 26 Nov 2015, 11:20 AM

২৮ নভেম্বর রাজশাহী বিভাগে বইমেলার মাধ্যমে শুরু হবে এই কর্মসূচি। পর্যায়ক্রমে দিনাজপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট ঘুরে অন্য বিভাগ ও জেলায় হবে বইমেলা।

এবারের আয়োজনে গ্রন্থকেন্দ্রের সহযোগী বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি।

জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র শুরুতে শুধু ঢাকায় বইমেলার আয়োজন করত। গত দুই বছর ধরে আরও কয়েকটি জেলায় তা বিস্তৃত হয়।

খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ, বগুড়া, কুমিল্লা ও সিলেটে আয়োজিত বইমেলার উদাহরণ টেনে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে মেলার আরও বিস্তৃতি ঘটানোর পরিকল্পনা জানান। 

তিনি বলেন, “সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বইমেলাকে আমরা ঢাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে তৃণমূলে নিয়ে যেতে চায়। এ লক্ষ্যে বিভাগীয় ও জেলা শহরে বইমেলা আয়োজনের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।”

এবার ঢাকার বাইরে আরও কয়েকটি জেলায় বইমেলা হবে। পরবর্তী বছরগুলোতে সব বিভাগীয় ও জেলা শহরে আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, “বিভাগীয় ও জেলা শহরে যেসব বইমেলার আয়োজন করা হচ্ছে সেখানে ঢাকা থেকে প্রকাশকগণ তাদের সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় বই নিয়ে অংশগ্রহণ করবেন। ফলে তৃণমূলে পাঠক ও পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি পাবে এবং সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বাড়বে।”

সংস্কৃতিকর্মী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, জ্ঞানভিত্তিক ও সৃজনশীল সমাজ গড়ে তুলতে এবং চেতনাকে বিকশিত করতে বইয়ের ভূমিকা গভীর তাৎপর্যবাহী। সামাজিক মূল্যবোধ সৃষ্টিতেও বইয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বইমনস্ক মানুষ হয় উদার, আধুনিক, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বইমেলা।

নিজের মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল মাঠে আট দিনব্যাপী বিভাগীয় বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে, যা চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

এরপর ১১ ডিসেম্বর দিনাজপুর, ৩০ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম, ১১ জানুয়ারি সিলেটে বইমেলার আয়োজন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আক্তারী মমতাজ, , বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক কামরুল হাসান শায়ক, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) হোসনে আরা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।