ওয়াসফিয়ার ফেইসবুক পৃষ্ঠায় এক পোস্টে জানানো হয়, ‘সেভেন সামিটস’অভিযান পূর্ণ করার পথে দুর্গম ‘মেসনার’ রুট হয়ে ওশেনিয়া অঞ্চলের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কারস্তেনস পিরামিডে পৌঁছান তিনি।
ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া প্রভিন্সে কারস্তেনস পর্বতমালায় ৪ হাজার ৮৮৪ মিটার উঁচু এই শৃঙ্গ স্থানীয়ভাবে পুঞ্চাক জায়া নামেও পরিচিত।
বাংলাদেশ অন সেভেন সামিটস ফাউন্ডেশনের এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৮ নভেম্বর সকাল ১০টা ১৯ মিনিটে ওই শৃঙ্গে পৌঁছান ওয়াসফিয়া। ইন্দোনেশিয়ান বন্ধু জশুয়া নোয়া এ অভিযানে তার সঙ্গে ছিলেন।
ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র করভি রাকসান্ড ফেইসবুকে লিখেছেন, স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে শৃঙ্গে পৌঁছানোর খবর ওয়াসফিয়া তাদের জানান।
“ওয়াসফিয়া বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪০ বছর উদযাপনের জন্য আমরা এই ক্যাম্পেইন শুরু করি, যা ‘৭১ এর চেতনাকে আরও পরিপূর্ণ করার একটি প্রয়াস এবং তাদের জন্য উৎসর্গ করছি যারা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। নিজ ভূমিতে ফেরার জন্য আমি উদগ্রীব হয়ে আছি।”
২০১২ সালের ২৬ মে দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট চূড়ায় উঠেন ওয়াসফিয়া নাজরীন। অবশ্য তার আগেই জয় করেন আফ্রিকার কিলিমানজারো ও দক্ষিণ আমেরিকার আকোনকাগুয়া।
এভারেস্টের পর একে একে অ্যান্টার্কটিকার ভিনসন ম্যাসিফ, ইউরোপের মাউন্ট এলব্রুস এবং উত্তর আমেরিকার ডেনালি চূড়ায় পৌঁছান ওয়াসফিয়া আর এবার কারস্তেনস পিরামিড জয়ের মধ্য দিয়ে তার ‘সেভেন সামিটস’ পূর্ণ হল।
‘দুঃসাহসী অভিযানের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নে নিজের অঙ্গীকার ও কর্মতৎপরতার জন্য’ ওয়াসফিয়াকে ২০১৪ সালের অন্যতম বর্ষসেরা অভিযাত্রীর খেতাব দিয়েছিল ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক।