লেখক-বুদ্ধিজীবীদের হুমকি: ‘জামায়াত সমর্থক’ গ্রেপ্তার

আইএস ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নামে লেখক-শিক্ষক-বুদ্ধিজীবীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ঢাকায় এক ‘জামায়াত সমর্থককে’ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Nov 2015, 06:43 AM
Updated : 26 Nov 2015, 02:38 AM

ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মুনতাসিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার রাতে তেজগাঁও এলাকা থেকে আব্দুল হক নামে ২৬ বছর বয়সী ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

তিনি বলেন, “অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও মুনতাসির মামুন এবং কয়েকজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

পরে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ১৫৩ জনকে হুমকি দেওয়ার তথ্য নিয়ে পুলিশ অনুসন্ধানে নেমেছিল। সেই অনুসন্ধানেই সাবেক মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়।

“তিনি ফাইজুর রহমান, সালেহ আহমেদ ফুয়াদ ও মাওলানা সাদ- এই তিন নাম ব্যবহার করে ফেইসবুকে সক্রিয় ছিলেন। স্পুফিং (এক ঠিকানার বদলে গোপনে অন্য ঠিকানায় নিয়ে যাওয়া) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিনি হুমকি দিয়ে আসছিলেন।”

তার বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা হয়েছে বলে জানান মুনিরুল। 

গত ১০ নভেম্বর মোবাইল এসএমএসে হত্যার হুমকি পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। সেখানে বলা হয়, ব্লগারদের পক্ষে দাঁড়ালে তাকে ‘চাপাতির আঘাতে’ মরতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনিসুজ্জামান অসাম্প্রদায়িক চেতনায় লেখালেখিতে সব সময় সক্রিয়। হুমকি পাওয়ার পর ওইদিনই গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি।

এরপর গত ১৬ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে যে নম্বর থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, তার মালিককে আটক করেছিল পুলিশ। পরে তদন্তে দেখা যায়, ওই ব্যক্তি ‘নির্দোষ’। তার নম্বর ‘ক্লোন করে’ আরেকজন ওই হুমকি দিয়েছে।

যে ব্যক্তি হুমকি দিয়েছিল তাকে শনাক্ত করা হলেও গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে সেদিন জানিয়েছিলেন তিনি।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে চারজন লেখক ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট খুন হওয়ার পর সম্প্রতি এক প্রকাশককেও হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডই ঘটানো হয় চাপাতির আঘাতে। এসব হত্যাকাণ্ডে জঙ্গিদের সংশ্লিষ্টতার কথা পুলিশের তদন্তেও এসেছে।