মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. সালেহ উদ্দিন গত ১০ নভেম্বর রায়ের এই দিন ঠিক করে দেন।
বেলা ২টায় এই রায় ঘোষণা হতে পারে জানিয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী মাহফুজ মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বিচার শুরুর দুই বছরের বেশি সময় পর এই রায় হতে যাচ্ছে।
রাজধানীর খ্যাতনামা বিদ্যালয়টির বসুন্ধরা ক্যাম্পাসের শিক্ষক পরিমলই এ মামলার একমাত্র আসামি। তিনি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ার লাটেংগা গ্রামের পরিমল ২০১০ সালে ভিকারুননিসার বসুন্ধরা শাখায় বাংলা বিভাগের শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন।
২০১১ সালে করা মামলায় ভিকারুননিসার তৎকালীন অধ্যক্ষ হোসনে আরা এবং বসুন্ধরা শাখার প্রধান লুৎফর রহমানকে আসামি করেছিলেন ধর্ষিত ছাত্রীরা বাবা। ২০১৩ সালের ৭ মার্চ আদালতে অভিযোগ গঠনের সময় অধ্যক্ষ ও লুৎফরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওই ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে ২০১১ সালের ২৮ মে প্রথম ধর্ষণ করেন পরিমল। ওই সময় ছাত্রীর নগ্ন ভিডিও চিত্র মোবাইলে ধারণ করা হয়। এরপর ওই ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ১৭ জুন আবারও ধর্ষণ করা হয়।
বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর ভিকারুননিসার ছাত্রীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তখন পরিমলকে বরখাস্ত করে।
এরপর ৫ জুলাই ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এই মামলা দায়ের করেন।
এর একদিন বাদে পরিমলকে ঢাকার কেরানীগঞ্জে তার স্ত্রীর বড় বোনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি।
মামলার শুনানিতে বিচারকের কাছে ওই ছাত্রী পরিমলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যও দিয়েছিলেন।