হাতে লেখা পাসপোর্ট যুগের শেষ দিন

বিশ্বজুড়ে বুধবার থেকে অচল হয়ে যাচ্ছে হাতে লেখা পাসপোর্ট। আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইসিএও) বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) হাতে লেখা পাসপোর্ট যুগের শেষ দিন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Nov 2015, 04:33 AM
Updated : 24 Nov 2015, 04:33 AM

বুধবার থেকে বিশ্বের সব বিমানবন্দরে হাতে লেখা পাসপোর্টের পরিবর্তে শুধুমাত্র গ্রহণযোগ্য হবে যন্ত্রে পাঠযোগ্য (মেশিন রিডেবল) পাসপোর্ট বা এমআরপি।

আইসিএও’র সিদ্ধান্ত মেনে ২০১০ সালের ১ এপ্রিল বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর মেশিন এমআরপি তৈরি ও বিতরণ প্রকল্প শুরু করে।

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত পাসপোর্ট অধিদপ্তর সোয়া কোটি মানুষের হাতে এমসআরপি তুলে দিতে পেরেছে।

২৪ নভেম্বরের পর হাতে লেখা পাসপোর্ট যে বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে যাবে তা গত ২৯ জুলাই এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্মরণ করিয়ে দেয় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

হাতে লেখা পোসপোর্টের মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে প্রবাসীরা যাতে সমস্যায় না পড়েন, সেজন্য নভেম্বরের আগেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত ৯১ লাখ বাংলাদেশিদের হাতে এমআরপি পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে বলে গত মার্চে আশা প্রকাশ করেছিলেন সে সময়কার প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে জানান, এখনও ১১ লাখের বেশি প্রবাসীকে এমআরপি দেওয়া সম্ভব হয়নি।

তিনি জানান, ২০১০ সালে প্রকল্প শুরুর পর প্রায় ৩৫ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশিকে এমআরপি দিতে একই সময়ে বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহ ও মালয়েশিয়ান আউটসোর্সিং কোম্পানি আইআরআইএসের মাধ্যমে বিদেশে কার্যক্রম শুরু হয়।

“৯ নভেম্বর পর্যন্ত দূতাবাসগুলো ২১ লাখ ১৫ হাজার ৯০১টি এমআরপি ইস্যু হয়েছে। আউটসোর্সিং কোম্পানি ইস্যু করেছে এক লাখ ৯৭ হাজার ২২২টি। এছাড়া মিশনগুলোর প্রায় ৫৪ হাজার ৫৪০টি পাসপোর্ট বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে মুদ্রণের অপেক্ষায় রয়েছে। ফলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে এখনও ১১ লাখ ৩২ হাজার ৩৩৭টি এমআরপি দিতে হবে,” বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের বরাতে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এমআরপি পাননি এমন প্রবাসীর সংখ্যা দুই লাখের বেশি হবে না।