ঢাকায় শ্রমিক লীগের দুই কর্মীকে ‘কুপিয়েছে’ যুবলীগকর্মীরা

রাজধানীতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী একটি সংগঠনের দুই কর্মীকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ এসেছে সহযোগী আরেকটি সংগঠনের  কর্মীদের বিরুদ্ধে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Nov 2015, 05:50 PM
Updated : 23 Nov 2015, 05:50 PM

রামপুরায় সোমবার সন্ধ্যার পর এই ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। তবে যুবলীগ

ও শ্রমিক লীগের নেতারা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন।

আহত কাসেম ও খলিল জাতীয় শ্রমিক লীগের কর্মী। কাসেম প্রাইভেট গাড়ির চালক, খলিল পেশায় রডমিস্ত্রি।

দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কাসেমের মাথা ও হাতে ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে।

রামপুরা থানার এসআই আবু বকর সিদ্দিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সন্ধ্যার পর পূর্ব রামপুরার কবরস্থান এলাকা থেকে কাসেম ও খলিলকে পুলিশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে।

কাসেম অভিযোগ করেন, কবরস্থান এলাকার ৬/৭ জন যুবলীগকর্মী তার উপর হামলা চালায়।

তবে রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একটি পিস্তলসহ কাসেমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।”

এই অভিযোগের বিষয়ে রামপুরা থানা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যুবলীগের সোহেল, বাবু, মোল্লা মিঠু, আসলামসহ কয়েকজন কাসেম ও খলিলকে মারধর করে তাদের কাছে অস্ত্র রেখে পুলিশকে খবর দেয়।”

যুবলীগের রামপুরার নেতা ও ৯৮ নম্বর ওয়ার্ড শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফুল ইসলাম সোহেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হরতালবিরোধী মিছিল শেষে দলীয় কর্মীদের নিয়ে রামপুরায় ছিলাম। ওই সময় কাসেম ও খলিলসহ কয়েকজন আমার উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে।

“জনতা তখন তাদের মারধর করে তাদের কাছে অস্ত্র পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।”

শ্রমিক লীগ নেতা আলম বলেন, সোহেল এক সময়ে খিলগাঁও থানা যুবদলের নেতা শাহজাদার অনুসারীদের সঙ্গে চলাফেরা করতেন।

“এখনও কারাগারে থেকে শাহজাদা তাদের বিভিন্ন অপরাধের নির্দেশ দেয়। তারা এক দলের নাম ব্যবহার করে অন্য দলের সন্ত্রাসীর নির্দেশ পালন করে চলে।”

তবে সোহেল এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।

তিনি উল্টো বলেন, আলমই এক সময় শাহজাদা পক্ষে থেকে চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে লিপ্ত ছিলেন।