সোমবার জাতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। আইএস কিংবা কোনো জঙ্গি গোষ্ঠীর মাথাচাড়া দেওয়া ঠেকাতে সবাকে সতর্ক থাকার পরামর্শও দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “মুসলিম অধ্যুষিত যে কোনো দেশে কিছু না কিছু গোলমাল লাগানো হচ্ছে। একমাত্র বাংলাদেশ নিরাপদ আছে।
“আমেরিকার একটা সংস্থার প্রতিবেদনে এসেছে যে বাংলাদেশে এখন ওই আমেরিকার থেকে বেশি নিরাপদ। বাংলাদেশকে আমরা এভাবে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে রাখতে চাই। এজন্য সবাইকে সক্রিয় হতে হবে।”
কোথাও জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর পরামর্শ দেন সরকার প্রধান।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ নিরাপদ, না অনিরাপদ- এ নিয়ে সরকারকে যথেষ্ট কথা শুনতে হয়েছে। একটা পর্যায়ে এমন অবস্থার সৃষ্টি করা হচ্ছিল যে জোর জবরদস্তি করে বাংলাদেশে ‘আইএস আছে, জঙ্গি আছে’ এ ধরনের একটা ঘোষণা দেওয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছিল।
“যেসব দেশ একসাথে বসে জটলা করে, এমনকি আমাদের কোনো কোনো মন্ত্রীর সাথে বসে ওই একটা কথাই বলার চেষ্টা করেছে যে এখানে আইএস আছে, জঙ্গি আছে।”
উন্নত দেশগুলোর আয়তন এবং জনসংখ্যার সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “৫৪ হাজার বর্গমাইলের ১৬ কোটি মানুষের বসবাসের এই বাংলাদেশে আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারছি।”
বিরোধীদলীয় নেতা রওশন দশম সংসদের সমাপনী বক্তব্যে বলেন, “অনেকে মনে করছে বাংলাদেশ বিদেশির জন্য নিরাপদ নয়। আমেরিকা থেকে সতর্ক করা হচ্ছে। আমেরিকায় সবার হাতে আর্মস আছে। পাখির মতো মানুষ মারছে। সেখানে তো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে না। এখানে তাহলে কীভাবে?”
বাংলাদেশ বিদেশিদের জন্য ‘সবচেয়ে নিরাপদ’ দাবি করে তিনি বলেন, “যারা কথা বলছে, কথাটা সঠিক নয়। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ দেশ।”
রওশন এরশাদের এই বক্তব্যের জন্য তাকে ধন্যবাদও জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা মাথা উঁচু করে চলব। প্রতিটি মানুষকে উপলব্ধি করতে হবে, দেশ আমাদের।
“বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। উন্নয়নের যে গতিশীলতা পেয়েছে, তা কেউ রোধ করতে পারবে না।”