যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকার রুহুল গার্মেন্ট লি. নামের ওই কারখানার শ্রমিকরা সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে।
জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের ব্যানারে ওই মানববন্ধনে উপস্থিত প্রায় শতাধিক নারী ও পুরুষ শ্রমিক পাওনা টাকা ফেরতে পেতে সরকারের হস্তক্ষেপ চান।
সংগঠনটির সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত চার মাস ধরে রুহুল গার্মেন্টস কারখানার মালিক পক্ষ শ্রমিকদের বেতন দেওয়া বন্ধ রেখেছে। গত ১৫ নভেম্বর হঠাৎ কারাখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ওই কারখানার মালিক হিসেবে রুদ্র ও ব্যবস্থাপক হিসেবে মলি লাল রায়ের নাম উল্লেখ করে তাদের সঙ্গে শ্রমিকদের হয়ে তিনি নিজে কয়েকবার যোগাযোগ করলেও সন্তোষজনক উত্তর পাননি বলে দাবি করেন বাহারান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে শ্রমিক নেতাদের কাছ থেকে পাওয়া রুদ্রর ফোন নম্বরে বেশ কয়েকবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ওই কারখানার একাধিক শ্রমিক জানান, প্রায় দুই বছর আগে চালু হওয়া ওই কারখানটি ভালোভাবেই চলছিল। তারা কেউ সাত হাজার টাকা, কেউ সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা বেতন পেতেন।
কিন্তু গত অগাস্ট থেকে আর বেতন দেওয়া হচ্ছে না। কেউ মালিকের কাছে গিয়ে টাকা চাইলে দুই/এক হাজার টাকা দিয়ে তাকে বিদায় করা হচ্ছে বলে জানান তারা।
গত ১৫ নভেম্বর থেকে পাওনা টাকা চাওয়া তো দূরের কথা নিজেরা কারখানার ভেতরে ঢুকতেই পারছেন না বলে দাবি করেন শ্রমিকরা।