গত ১৬ নভেম্বর মেহেদী হাসান রাজ নামে ওই শিক্ষার্থী বাড্ডার বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি।
পরদিন তার মোবাইল থেকেই পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি সম্বলিত একটি এসএমএস আসে।
রাজের বাবা জসিম উদ্দিন বাড্ডার সাতারকুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজের বন্ধু হৃদয়ের কাছে ওই এসএমএসটি পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় বাড্ডা থানায় প্রথমে একটি জিডি করা হলেও পরে অপহরণের মামলা করা হয়েছে।
রাজের মা কানিজ মাকসুদা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় তালতলা মসজিদ রোডের বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে বিবিএ শেষ বর্ষের ছাত্র রাজের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
পরের দিন তার মোবাইল থেকে একবার ফোন এলেও তিনি ধরতে পারেননি। তবে পরে আরেকবার ফোন এলে রিসিভ করার পর অপরপ্রাপ্ত থেকে কেউ কথা বলেননি।
কাউকে সন্দেহ করছেন কিনা জানতে চাওয়া হলে রাজের মা বলেন, “জমি নিয়ে তাদের সঙ্গে একজনের বিরোধ আছে।”
কান্না জড়িত কণ্ঠে কানিজ মাকসুদা বলেন, “বাবা আমার একমাত্র ছেলেরে তোমরা এনে দেও। ওর ঘরের জিনিসপত্র যেরকম রেখে গিয়েছিল সেরকম পড়ে আছে, তোমরা এসে দেখে যাও।”
তিন সন্তানের মধ্যে জসিম উদ্দিন দম্পতির একমাত্র ছেলে রাজ, তিনি মেঝ; বাকি দুইজন বোন।
বাড্ডা থানার ওসি এম এ জলিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার সর্বশেষ অবস্থান জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
ভিকটিমকে না উদ্ধার করা পর্যন্ত তারা সব চেষ্টাই চালিয়ে যাবেন বলে জানান ওসি।
যার নম্বরে এসএমএস এসেছিল তাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।