শীর্ষ দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি, ‘চুপ’ ছাত্র সংগঠনগুলো

যুদ্ধাপরাধে আগে দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর ছাত্র সংগঠনগুলো মিছিল করলেও রোববার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি হওয়ার পর সারা দিনই দৃশ্যত চুপচাপ ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

তপন কান্তি রায়বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Nov 2015, 07:48 PM
Updated : 22 Nov 2015, 07:54 PM

একাত্তরে চূড়ান্ত বিজয়ের আগে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে যে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড চালানো হয় সেই হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্বদানকারী ছিলেন আল-বদর কমান্ডার আলী আহসান মুজাহিদ। ওই সময়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক।

সেই মুজাহিদসহ আরেক কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকরের দিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ছাত্রলীগ ও তাদের জোট শরিক জাসদ ছাত্রলীগ, ছাত্র মৈত্রী কোনো মিছিল-সভা করেনি। কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি বাম ধারার ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীকেও।

অবশ্য রাতে ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর আনন্দ মিছিল করার কথা জানিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতারা। আর গণজাগরণ মঞ্চের কর্মসূচিতে থাকার কথা বলেছে বাম ছাত্র সংগঠনগুলো।

ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ

ছাত্রলীগের গত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান তারেক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর আনন্দ মিছিল করেছিলেন তারা।

কাদের মোল্লা এবং পরে গত এপ্রিলে মো. কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর গণজাগরণ মঞ্চের পাশাপাশি ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও আনন্দ মিছিল করা হয় বলে সংগঠনের সদ্য সাবেক সভাপতি হাসান তারেক জানিয়েছেন।

এবার কর্মসূচি নিয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ রোববার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রায় কার্যকর হওয়ার পরে রাতেই আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল করেছি। তবে দিনের বেলা ক্যাম্পাসে কোনো কর্মসূচি করা হয়নি।”

রায় কার্যকরের প্রতিক্রিয়ায় রোববার দিনের বেলা ছাত্রলীগের কোনো কমসূচি ছিল না বলে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবিদ আল হাসানও জানান।

ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি লাকী আক্তার

সংগঠনের ব্যানারে কোনো কর্মসূচি না থাকার কারণ জানতে চাইলে ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি লাকী আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাংগঠনিকভাবে আমরা গণজাগরণ মঞ্চের কর্মসূচি পালন করে থাকি। গণজাগরণ মঞ্চের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমরা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করি।”

ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাবিব রুমন বলেন, “সংগঠনের ব্যানারে কোনো কর্মসূচি ছিল না। তবে গণজাগরণ মঞ্চের বিজয় মিছিল গিয়েছিলাম।”