পৌর ভোট: প্রচারে মন্ত্রী-এমপিদের এবার বাদ দিয়েছে ইসি

পৌর নির্বাচনে সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের সফর ও প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা রেখেই আচরণবিধি চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন।

মঈনুল হক চৌধুরীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Nov 2015, 06:24 PM
Updated : 22 Nov 2015, 06:25 PM

পৌর ভোটের অধ্যাদেশ জারির পর মন্ত্রী-এমপিদের প্রচারে অংশ নেওয়ার সুযোগ রেখেই বিধিমালা তৈরি করেছিল ইসি, তবে তা নিয়ে সমালোচনা ওঠার পাশাপাশি তাতে সরকারও বাধ সাধে।

শুধু মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রেখে সংশোধিত আইনের গেজেট শনিবার জারি হওয়ার পর বিধিমালা নিয়ে আবার বসে ইসি। এরপর ভেটিংয়ের জন্য তা রোববার আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এবার গতবারের মতো করা হয়নি। মন্ত্রী-এমপিসহ সরকারি-সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের কোনো প্রার্থীর পক্ষে পৌর নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারবেন না,এমন বিধানই রাখা হয়েছে।”

দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের চারটি আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। পৌরসভা নির্বাচন ডিসেম্বরে করতে হবে বলে অধ্যাদেশ জারি করে তা কার্যকর করা হয়। 

কিন্তু এরপর কাউন্সিলর পদে ভোটের আগের মতোই করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরপর পৌরসভার আগের অধ্যাদেশ বাতিল করে শুধু মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নের বিধান রেখে পৌরসভার সংশোধিত আইন সংসদে পাস হয়।

বিধিমালার সংশোধিত প্রস্তাবের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার জন্যে দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সম পর্যায়ের পদাধিকারী বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির প্রত্যায়নের বিধান রয়েছে।

“দলকে এক্ষেত্রে তফসিল ঘোষণার ৫ দিনের মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের কাছে ও ইসি সচিবালয়ে দলের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম, পদবি ও নমুনা স্বাক্ষরসহ একটি চিঠি দিতে হবে।”

মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ১০০ ভোটারের সমর্থনযুক্ত তালিকা দেওয়ার বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানান সচিব।

ভোটের প্রচার (ফাইল ছবি)

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের সমর্থন যাচাই করার জন্যে তালিকা থেকে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে ৫ জনকে বাছাই করা হবে।

পৌরসভা প্রতি ১ লাখ টাকা দলীয় ব্যয় রাখাসহ আইনের আলোকে মনোনয়নপত্র, প্রতীক ব্যবহারে প্রয়োজনীয় সব কিছুতে সংশোধনী এনে বিধিমালা করা হয়েছে।

বিধিমালা অনুমোদিত হয়ে হাতে ফেরত এলেই পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।

“এজন্য সবকিছু দ্রুত প্রস্তুত রাখা হচ্ছে,” বলেন সিরাজুল ইসলাম।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, সোমবার আইন মন্ত্রণালয় বিধিমালায় ভেটিং সেরে ইসিতে পাঠালে তা কমিশন আরেকবার দেখবে। মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইসির দ্বিমত না থাকলে বিধিমালা জারির জন্যে এসআরও নম্বর দিতে আইন মন্ত্রণালয়ে তা ফের পাঠানো হবে। এসআরও নম্বর যোগ হলেই বিধিমালার গেজেট প্রকাশ হবে।

ইসি কর্মকর্তারা বলেন, বৃহস্পতিবারের মধ্যে তফসিল দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

“মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে সবকিছু চূড়ান্ত হলে তফসিল দিতে আমরা প্রস্তুত,” বলেন ইসি সচিব।