এরা হলেন- কসাই ইয়াসিন (৩৩), তার সহযোগী ফকরুদ্দিন (৪০) ও হিরু মিয়া (২২)।
রোবাবর ভোরে আদাবরের ১৬ নম্বর কাঁচা বাজারে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করার পাশাপাশি ওই দোকানের সব মাংসও জব্দ করেছেন পুলিশ।
আদাবর থানার এএসআই জাহান-ই-আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদাবরের ওই মাংসের দোকানে মরা গরুর মাংস বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়।
“আদাবরের সুনিবিড় হাউজিংয়ের ১৬ নম্বর সড়কের খামার মালিক আলী আকবর গত সপ্তাহে এক লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে ওই গরুটি কেনেন। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে অজ্ঞাত রোগে গরুটি মারা যায়। এর পরও আটককৃতরা ওই মরা গরু কেটে মাংস বিক্রির চেষ্টা চালায়।”
“এজন্য তাকে আমি তাকে পাঁচশ টাকাও দেই এবং চামড়া ছিলে তা বিক্রি করে টাকা তাকেই নেওয়ার পরামর্শ দেই।”
এএসআই আলম জানান, ফকরুদ্দিন তার সহযোগী হিরুকে নিয়ে কসাই ইয়াসিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ১০ হাজার টাকায় মরা গরুটি বিক্রি করে দেয়। গভীর রাতে খামারে পড়ে থাকা মরা গরুটির চামড়া সেখানেই ছিলে মাংস আলাদা করে নিজ দোকানে নিয়ে আসে ইয়াসিন।
ওই বাজারের আরেক মাংস বিক্রেতা মনির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ছয় মাস আগে এই বাজারে ব্যবসা শুরু করে ইয়াসিন।
“পুলিশ আর কিছুক্ষণ পর অভিযান চালালে মাংস বেচা শুরু হয়ে যেত।”
ইয়াসিন এর আগেও এ ধরণের কাজ করেছে কি না তা যাচাই করা হচ্ছে বলে জানান এই পুলিশ সদস্য।