রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয় বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
নুরুল ইসলামের বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি।
সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদের আমলে উপ-রাষ্ট্রপতি ছাড়াও আইনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নুরুল ইসলাম। তার আগে ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
তার বড় ছেলে হাই কোর্ট বিভাগের বর্তমান বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম। ছোট ছেলে প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহিনুল ইসলাম।
স্ত্রী কবি জাহানারা আরজু, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে নুরুল ইসলামের।
শনিবার বাদ আছর গুলশান আজাদ মসজিদে তার প্রথম জানাজা হয়। রোববার জোহরের পর তার মরদেহ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে নেওয়া হবে, জানাজা শেষে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে নেওয়া হবে। সেখানে জানাযা শেষে খলিলপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
কর্মজীবনে নুরুল ইসলাম ১৯৬৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত হাই কোর্টের বিচারক ছিলেন। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন। সাবেক এই বিচারপতিকে ১৯৮৫ সালে আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৮৬ সালে উপ-রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এছাড়া রেড ক্রিসেন্টের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন তিনি।