ঢাকা জেলার সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান কীরণ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বুধবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে আশুলিয়ার বারইপাড়া এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে একটি চেকপোস্টে এ ঘটনা ঘটে।
শিল্প পুলিশ-১ এর উপপরিচালক কাওসার শিকদার বলেন, “হামলাকারীদের মূল উদ্দেশ্য ছিল অস্ত্র ছিনতাই। অস্ত্র নিতে না পেরেই তারা ছুরিকাঘাত করে।”
ঢাকার গাবতলীতে তল্লাশি চৌকিতে ছুরিকাঘাতে পুলিশের এক এএসআই নিহত হওয়ার ১৩ দিনের মাথায় এ ঘটনা ঘটল।
সহকারী পুলিশ সুপার কীরণ বলেন, “থানা ও শিল্প পুলিশের পাঁচ সদস্য সকালে বারইপাড়া চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করছিলেন। কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে এসে একদল দুর্বৃত্ত তাদের ওপর হামলা করে। এতে কনস্টেবল মুকুল হোসেন ও নূরে আলম গুরুতর আহত হন, বাকিরাও আঘাত পান।”
তাদের সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে অপারেশন থিয়েটারে মুকুলের মৃত্যু হয়।
কনস্টেবল নূর আলম সিদ্দিকীর অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে শিল্প পুলিশের উপপরিচালক জানান।
২৩ বছর বয়সী মুকুল হোসেন পুলিশে যোগ দিয়েছিলেন ২০১২ সালে। তিনি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বাহুবল গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।
এ ঘটনায় আহত অপর তিন কনস্টেবল হলেন আতেল, পিনহারুল ইসলাম ও ইমরান।
কারা এ হামলা চালিয়েছে, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলতে পারেননি পুলিশ কর্মকর্তারা। হামলার সময় কাওকে আটকও করা যায়নি।
সেখানে এক যুবকের ছুরিকাঘাতে ইব্রাহিম মোল্লা (৪০) নামে পুলিশের এক এএসআই নিহত হন।
এর দুই দিন পর পুরান ঢাকার হোসাইনী দালানে শিয়াদের তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় বোমা হামলায় দুইজন নিহত হন।
পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক সে সময় বলেছিলেন, গাবতলীতে এএসআই খুনের সঙ্গে ইমামবাড়ার বোমার যোগসূত্র রয়েছে।