সিম পুনঃনিবন্ধন: এসএমএসে সুযোগ ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত

২০১২ সালের আগে কেনা সিমের পুনঃনিবন্ধনের জন্য আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত এসএমএসে তথ্য দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন গ্রাহকরা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Oct 2015, 02:11 PM
Updated : 27 Oct 2015, 02:11 PM

মঙ্গলবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১২ সালের আগে কেনা সিমের বিপরীতে বিভিন্ন তথ্য চেয়ে ১৫ অক্টোবর থেকে গ্রাহকের মোবাইলে এসএমএস পাঠানো শুরু করেছে অপারেটররা, যা ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।

“নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সঠিকভাবে সিমের নিবন্ধন করা না হলে ওই সিম বন্ধ করে দেওয়া হবে।”

পরবর্তীতে কোনো গ্রাহক ‘প্রয়োজনীয় ও উপযুক্ত’ কাগজপত্র দেখাতে পারলে বন্ধ সিম চালু করার বিষয় বিবেচনা করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, ১৮ বছরের নিচে কারও কাছে সিম বিক্রি করা যাবে না, সিম থাকলেও নিবন্ধন করা যাবে না। ১৮ বছরের কম বয়সীদের সিমের নিবন্ধন তাদের অভিভাবকদের (বাবা/মা) নামে  করতে হবে।

এসএমএসের জবাব পাঠিয়ে পুনঃনিবন্ধনের পাশাপাশি সিম নিবন্ধিত কি না বা সঠিকভাবে নিবন্ধন করা হয়েছে কি না গ্রাহক তা ঘরে বসেই যাচাই করে নিতে পারবেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এতে বলা হয়, “মোবাইল থেকে এসএমএস করে অথবা মোবাইল অপারেটরের ওয়েবসাইটে গিয়ে সিম নিবন্ধনের সঠিকতা যাচাই করা যাচ্ছে। ২০১২ সালের পর কেনা সিমের ক্ষেত্রে গ্রাহকরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে তথ্য পাঠিয়ে নিবন্ধনের সঠিকতা যাচাই করতে পারবেন।”

নিবন্ধনের সঠিকতা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া তুলে ধরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রামীণ ফোন, বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল ও টেলিটকের গ্রাহককে মোবাইলের এসএমএস অপশনে গিয়ে ইংরেজিতে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) নম্বর, এনআইডি অনুযায়ী জন্মতারিখ, পূর্ণনাম লিখে ১৬০০ নম্বরে পাঠাতে হবে।

সিটিসেলের গ্রাহকদের মোবাইলের এসএমএস অপশনে গিয়ে ইংরেজিতে U  লিখে (স্পেস) দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, পরিচয়পত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ ও পূর্ণনাম লিখে ১৬০০ নম্বরে পাঠাতে হবে।

সব ঠিক থাকলে ফিরতি এসএমএসে ‘Your request has been accepted, Thank you for the information’ লেখা আসবে। এই এসএমএস  পাঠানোর জন্য গ্রাহকের কোনো টাকা কাটা হবে না।

এসএমএসে যাদের সিমের পুনঃনিবন্ধন হবে না তাদের বায়োমেট্রিকস পদ্ধতিতে অংশ নিয়ে সিমের নিবন্ধন করতে হবে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানিয়েছে, আগামী ১ নভেম্বর  থেকে সব মোবাইল অপারেটরের নিজস্ব সার্ভিস সেন্টার/ কাস্টমার কেয়ার - এ বায়োমেট্রিকস পদ্ধতিতে সিমের নিবন্ধন চালু হচ্ছে। ১৬ ডিসেম্বর থেকে সারা দেশে এই পদ্ধতিতে নিবন্ধন হবে।

ভুয়া পরিচয়ে অথবা নিবন্ধন না করে সিম কিনে নানা অপরাধে ব্যবহারের অভিযোগ বাড়তে থাকায় সম্প্রতি গ্রাহকদের তথ্য যাচাই ও সিম পুনঃনিবন্ধনের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরপর মোবাইল গ্রাহকদের সিমের তথ্য যাচাইয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ভাণ্ডার ব্যবহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

বাংলাদেশে বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটকসহ মোট ছয়টি অপারেটর মোবাইল ফোন সেবা দিচ্ছে। বিটিআরসি’র সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, মানুষের হাতে থাকা মোবাইল সিমের সংখ্যা ১৩ কোটি ১৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে, যেখানে দেশের জনসংখ্যাই ১৬ কোটি।