মঙ্গলবার রাজধানীতে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমণ দিবসের এক সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “সাম্প্রতিককালে গার্মেন্ট কারখানায় ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ড ও জানমালের ক্ষয়-ক্ষতি আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে। এছাড়া বাংলাদেশ সিসমিক জোনে অবস্থিত হওয়ায় বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে।
“নেপালে যে মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে, তা এশিয়ার অন্য যে কোনো দেশে হতে পারে। এমন ক্রান্তিকালেও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ তৎপরতা এবং উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখতে ‘ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার’ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি।
“এটা হবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সেন্টার অব এক্সিলেন্স। জাপানের সহায়তায় আমরা এটা নির্মাণ করতে চাই। এ বিষয়ে আমরা জাপান সরকারের পূর্ণ সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।”
গত ২৫ এপ্রিল নেপালে ৭ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প বাংলাদেশকেও নাড়া দিয়েছিল-এ বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে মন্ত্রী বলেন, “অপরিকল্পিত নগরায়ন, ঘনবসতি, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণের কারণে শহরে ভূমিকম্পে বিপদের শঙ্কা বাড়ছে।”
তিনি বলেন, বাংলাদেশে মার্চ থেকে মে এবং অক্টোবর-নভেম্বর মাসে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা বেশি ঘটে।
বিশ্বব্যাপী উষ্ণায়নের কারণে জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে মন্তব্য করে মায়া বলেন, “ফলে দেশে দুর্যোগের ধরন, মাত্রা ও তীব্রতা অনেক বেড়ে গেছে। আমাদের কষ্টার্জিত উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে।”
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র নাথ শম্ভু বক্তব্য রাখেন।
সভা শেষে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।