শেরপুরে বস্তাবন্দী লাশ: নারী আটক

শেরপুর সদরের টালিয়াপাড়া গ্রাম থেকে হাত-পা বাঁধা বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের তিনদিন পর পরিচয় পাওয়া গেছে।

শেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Oct 2015, 07:27 AM
Updated : 13 Oct 2015, 07:27 AM

লাশ শনাক্তের পর স্বজনদের অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার সকালে এক নারীকে আটকের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

শেরপুরের জ্যেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল মো. শাহজাহান মিয়া জানান, বস্তাবন্দি লাশটি জামালপুর জজ আদালতের মহুরী গোলাম মোস্তফার (৫০)। তিনি ওই আদালতের অতিরিক্ত পিপি ফজলুল বারীর সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।

মোস্তফার বাড়ি জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। জামালপুর জেলা শহরের সকালবাজার এলাকায়ও তার বাসা রয়েছে বলে জানান তিনি।  

শাহজাহান মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অন্য নারীর সঙ্গে ‘বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের’ কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বালে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

শেরপুর সদর থানার ওসি মাজহারুল করিম জানান, গত ৯ অক্টোবর টালিয়াপাড়া গ্রামে শেরপুর-জামালপুর সড়কের পাশ থেকে বস্তাবন্দি হাত-পা বাঁধা লাশটি পাওয়া যায়। লাশটি একদিন জেলা সদর হাসপাতালের হিমঘরে রাখার পর ১০ অক্টোবর ময়নাতদন্ত শেষে ‘বেওয়ারিশ’ হিসেবে দাফন করা হয়।

পরে পুলিশ বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে বলে জানান তিনি। 

মামলার বাদী সদর থানার এসআই বশির আহমেদ বাদল জানান, লাশ উদ্ধারের তিনদিন পর সোমবার দুপুরে স্বজনরা থানায় এসে লাশের ছবি ও পোশাক দেখে গোলাম মোস্তফাকে শনাক্ত করেন।

তিনি জানান, স্বজনরা পুলিশকে জানিয়েছে গত ৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার শহরের বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি মোস্তফা।

“পরে স্বজনদের অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার সকালে এক নারীকে (২২) [পরিচয় প্রকাশ করা হলো না] আটক করা হয়।”

তবে, তদন্তের স্বার্থে ওই নারীর বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি পুলিশ।