অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম মঙ্গলবার অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদালতে এই আবেদন উপস্থাপন করার পর লিটনের আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন।
পরে আদালত শুনানির জন্য বুধবার দিন ঠিক করে দেয় বলে অ্যাটর্নি জেনারেল জানান।
লিটনকে গ্রেপ্তারের আইনি সুযোগ নিয়ে অস্পষ্টতা কাটাতে এই আবেদন যে করা হবে, অ্যার্টনি জেনারেল সোমবারই তা জানিয়েছিলেন।
গত ২ অক্টোবর গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য লিটনের ছোড়া গুলিতে শাহাদাত হোসেন সৌরভ নামে নয় বছর বয়সী এক শিশু আহত হয় বলে পরিবারের অভিযোগ।
আহত সৌরভের বাবা সাজু মিয়া ঘটনার পরদিন সাংসদ লিটনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন হাফিজার রহমান নামে সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তর শাহাবাজ গ্রামের এক বাসিন্দা।
গুলির ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন লিটন। এর মধ্যেই লিটনের আগাম জামিনের আবেদন করেন আইনজীবীরা।
সোমবার ওই আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর অবকাশকালীন হাই কোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদন খারিজ করে দেয়। সেইসঙ্গে সাংসদ লিটনকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে গাইবান্ধার মুখ্য বিচারকি হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ওই আদেশের পর সাংসদ লিটনের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম দাবি করেন, আদালত যেহেতু আত্মসমর্পণের তারিখ ঠিক করে দিয়েছে, সেহেতু ১৮ অক্টোবরের আগে লিটনকে গ্রেপ্তারের সুযোগ নেই।
“কেননা গ্রেপ্তার করা হলে তিনি হাই কোর্টের নির্দেশনা অনুসারে নিম্ন আদালতে যেতে পারবেন না। উনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, নির্ধারিত সময়ে নিম্ন আদালতে আত্নসমর্পণ করবেন,” বলেন তিনি।
অন্যদিকে অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, লিটনের জামিন আবেদন নাকচ হলেও আদালতের নির্দেশনা ‘সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়’।
“আদালত বলল, ১৮ তারিখের ভেতর আত্মসমর্পণ করতে। পুলিশের প্রতি নির্দেশনা নেই গ্রেপ্তার না করার ব্যাপারে। তবুও পুলিশ প্রশাসন দ্বিধাগ্রস্ত থাকবে- এজন্যই আমি সুপ্রিম কোর্টে যাব।”