শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আসিফ বিন ত্বাকী এ দাবি জানান।
‘ছাত্র-অভিভাবক ঐক্য ফোরাম’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এর আগে বেলা ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর দেড়টা্র দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের দিকে যান তারা।
প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগের সত্যতা প্রমাণে সংবাদ সম্মেলনে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার আগের দিন এবং পরীক্ষার এক ঘণ্টা আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া প্রশ্নপত্র এবং ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা।
হোয়াটস অ্যাপ ও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি প্রশ্নপত্র সাংবাদিকদের দেখান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে এক শিক্ষার্থীর মোবাইল কথোপকথনের রেকর্ড বাজিয়ে শোনানো হয়, যিনি পরীক্ষার আগে প্রশ্ন পেয়ে তা নিয়ে কথা বলেন বলে দাবি আন্দোলনরতদের।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থী আসিফ বিন ত্বাকী বলেন, “সরকারের কাছে আমাদের দাবি, প্রশ্নফাঁসের বিষয়টির সঠিক তদন্তের জন্য কমিশন ফর ইনকোয়ারি এ্যাক্ট ১৯৫৬ অনুযায়ী একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করা হোক।”
তিনি বলেন, “আমাদের কাছে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। স্বাধীন কমিশন গঠন করা হলে সে সকল তথ্য-প্রমাণ আমরা ওই কমিশনে দাখিল করব।”
অভিভাবকদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন অধ্যাপক আশরাফ কামাল।
উত্তরা কেয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যাপক আশরাফ বলেন, “সমস্যা যেমন আছে, সমস্যা সমাধানে আলাপ-আলোচনার বিষয়টিও রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এক সংসদ সদস্যের মাধ্যমে আমাদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
“আহ্বান অনুযায়ী আলোচনায় বসার জন্য আমরাও ৩০ জন প্রতিনিধি নিয়ে যাব। কিন্তু আমরা কোনো রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসব না। সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে আমরা বৈঠকে বসব, অন্যথায় আমরা সে বৈঠকে বসব না।”
তাদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের জন্য সারা দেশের শিক্ষার্থীদের রোববার ক্লাস বর্জনের আহ্বান জানিয়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থী আসিফ বিন ত্বাকী।
“আমরা সকাল ১০টায় শহীদ মিনারে অবস্থান নেব। এ আন্দোলনকে বেগবান করতে সারা দেশে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন করে অবস্থান ধর্মঘট পালনের আহ্বান জানাচ্ছি,” বলেন তিনি।