বিজিবি সদরদপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মহসিন রেজা শনিবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বারিধারা ও গুলশানে বিজিবি সদস্যরাও টহল দেবে।”
এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা ও রংপুরে দুই বিদেশি খুন হওয়ার পর সারা দেশেই বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তায় বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বাংলাদেশে অবস্থানরত প্রায় দুই লাখ ২৪ হাজার বিদেশি নাগরিকের নিরাপত্তায় ‘বিশেষ ব্যবস্থা’ নেওয়ার কথা জানিয়ে মঙ্গলবার কূটনীতিকদের্ আশ্বস্ত করে সরকার।
এর তিন দিনের মাথায় শুক্রবার যুক্তরাজ্যের হালনাগাদ করা ভ্রমণ বিষয়ক সতর্কবার্তায় বাংলাদেশে বিদেশিদের উপর ‘নির্বিচারে হামলার’ শঙ্কা প্রকাশ করে ব্রিটিশ নাগরিকদের চলাফেরায় সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরদিন ঢাকার কূটনীতিকপাড়ায় বিজিবি মোতায়েন করল সরকার।
দুটি ঘটনার পরই আইএস হত্যার দায় স্বীকার করে বলে খবর দেয় জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ‘সাইট ইন্টিলিজেন্স গ্রুপ’। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে বাংলাদেশে জঙ্গি উত্থানের সম্ভাবনা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়।
তবে সরকার বলে আসছে,দুই খুনের সঙ্গে আইএস-এর সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ মেলেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেছেন, আইএস বা তেমন কোনো জঙ্গি সংগঠনের তৎপরতা বাংলাদেশে নেই।
দুই বিদেশি খুন হওয়ার পর বিদেশিদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়। গুলশান-বারিধারায় কূটনীতিকপাড়ায় পুলিশি টহলের পাশাপাশি ওই সব এলাকার প্রবেশমুখগুলোতে তল্লাশি জোরদার করা হয়।
সারা দেশে বিদেশিদের নিরাপত্তার দিকে নজর দিতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সব জেলার পুলিশ সুপার ও থানার ওসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়।