শালিখা থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল ইসলাম খান জানান, শুক্রবার দুপুরে মৃত অনিমা বিশ্বাসের (১৮) বাবা গৌতম বিশ্বাস বাদী হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে এ মামলা করেন।
“মামলায় নিহতের স্বামী সুমন বিশ্বাস, শ্বশুর স্বপন বিশ্বাস ও শাশুড়িকে আসামি করা হয়েছে।”
বিকালে সুমন ও তার মাকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার শালিখা উপজেলার থৈয়পাড়া নূরপুর গ্রামের অনিমা বিশ্বাস তার মেয়ে শ্রুতিসহ গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।
অগ্নিদগ্ধ শিশু শ্রুতিকে চিকিৎসা দেওয়া শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। বিকাল ৪টার দিকে মারা যান অনিমা।
অনিমার পরিবারের অভিযোগ, যৌতুক দিতে না পারায় তাদের মেয়ে অনিমাকে অত্যাচার করায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
অনিমার বাবা বলেন, “যৌতুকের দাবিতে আমার মেয়ের উপর তার স্বামী-শ্বশুর-শাশুড়ি প্রায়ই নির্যাতন চালাত। তারাই আমার মেয়েকে হত্যা করেছে।”
এ ঘটনায় অনিমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মামলা না করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, সম্প্রতি অনিমার ঘর থেকে একটি সোনার চেইন হারানো গেলে অনিমাকে দোষারোপ করেন তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এই অপমানে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।