বৃহস্পতিবার দুপুরে শালিখা উপজেলার থৈয়পাড়া নূরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহতরা হলেন নূরপুর গ্রামের কৃষক সুমন বিশ্বাসের (২৫) স্ত্রী অনিমা বিশ্বাস (১৮) ও মেয়ে শ্রুতি বিশ্বাস (১)।
পুলিশ গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করেছে।
মাগুরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আমর প্রসাদ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে অগ্নিদগ্ধ শিশু শ্রুতিকে চিকিৎসা দেওয়া শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। বিকাল ৪টার দিকে মারা যান অনিমা।
অনিমার শ্বসনালিসহ শরীরের ৮০ শতাংশের বেশি পুড়ে গিয়েছিল বলে জানান তিনি।
সুমন বিশ্বাসের প্রতিবেশী ঠেকারী বিশ্বাস বলেন, অনিমা বিশ্বাস ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বামনআইল গ্রামের গৌতম বিশ্বাসের মেয়ে।
“দুই বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। এরপর থেকে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে স্বামী সুমন ও শাশুড়ি মনিমালা বিশ্বাস গৃহবধূ অনিমার উপর শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন শুরু করেন। সম্প্রতি তা চরম আকার ধারণ করেছিল।”
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে অনিমা তার মেয়েসহ ধানের ডোলের ভেতর গিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেন।
হাসপাতালে উপস্থিত শালিখা থানার এএসআই হাফিজুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই অনিমা তার শিশুকন্যাসহ আত্মহত্যার জন্য গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান এএসআই হাফিজুর রহমান।
শালিখা থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল ইসলাম খান জানান, অনিমার স্বামী সুমন ও শাশুড়ি মনি মালাকে আটক করা হয়েছে।