রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, গ্রেপ্তারকৃত রবিউল ইসলাম নয়ন মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে কলাবাগান, রমনা ও মাগুরা থানায় চাঁদাবাজি ও নাশকতার একাধিক মামলা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মগবাজারের বৈকালী হোটেলের চতুর্থ তলার ৩০৪ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি মশিউর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুই সহকর্মীকে নিয়ে তিনি বৈকালী হোটেলে অবস্থান নেন। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দুজন হোটেলে অবস্থান করছে বলে হোটেলটির ম্যানেজার তাদেরকে জানান।
“আমরা হোটেলের চতুর্থ তলার ৩০৪ নম্বর কক্ষে অনেকক্ষণ কড়া নাড়ার পর হাতে পিস্তল তাক করে নয়ন দরজা খুলতেই পাল্টাপাল্টি গুলি বিনিময় হলে সে আহত হয়। তাকে গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।”
আহত নয়নকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান ওসি মশিউর।
হোটেলের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) থেকে পাওয়ার ফুটেজ দেখে সেখানে নয়নের সঙ্গে আরেক জন ছিল বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।
মশিউর বলেন, “পুলিশ তাকেও সনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।”
সুব্রত বাইনের বিরুদ্ধে করা কোনও মামলায় নয়ন আসামী কিনা- তা জানাতে পারেননি তিনি। “পুলিশ তার বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলো খতিয়ে দেখছে।”
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, নয়ন মোহাম্মদপুরের ছাত্রদল নেতা হলেও সুব্রত বাইনের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ হিসেবে মগবাজারে থেকেই বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করত।
বৈকালী হোটেলের কর্মচারী মনু মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকাল সাড়ে ১০টার পর পুলিশ হোটেলে ঢুকে ম্যানেজারের সহায়তায় চার তলার একটি রুমের সামনে অনেকক্ষণ পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকে। রুম খোলার পর কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়।
‘পরে নয়ন নামের এক বোর্ডারকে রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশ নিজেদের সঙ্গে নিয়ে যায়’ বলে জানান তিনি।
হোটেলের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক আশিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নয়ন মাঝে-মধ্যেই এই হোটেলে আসতেন। অল্প সময় বিশ্রাম নিয়ে চলে যেতেন। তার থেকে কখনও হোটেলের ভাড়া নেওয়া হতো না।