বৌদ্ধ ধর্মে দাহ করার প্রথা থাকলেও কুনিওকে কেন সমাহিত করতে তার দেশের পক্ষ থেকে চাওয়া হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এই জাপানি বাংলাদেশে আসার পর ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন বলে রংপুরে যে এলাকায় তিনি থাকতেন, ওই এলাকার বাসিন্দারা দাবি করেছেন।
রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র শরফউদ্দিন আহম্মেদ ঝণ্টু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জাপান দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি তাকে ফোন করে সমাহিত করার বিষয়ে কথা বলেন।
“রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় কোনো কবরস্থানে কুনিওকে দাফন করা যাবে কি না, জানতে চেয়েছেন ফার্স্ট সেক্রেটারি।”
এছাড়া সৎকারে কত টাকা খরচ হবে বলেও মেয়রের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তিনি জানান, আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা খরচ হতে পারে।
৬৬ বছর বয়সি কুনিও রংপুর শহরের মুন্সিপাড়ায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ওই বাড়ির দুই ছেলে জাপানে থাকে। তাদের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্রেই বাংলাদেশে এসে রংপুরের কাউনিয়ায় একটি ঘাসের খামার গড়ছিলেন তিনি।
মুন্সিপাড়ার একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, গত মে মাসে বাংলাদেশে আসার পর কুনিওকে তারা মসজিদে একাধিকবার দেখেছেন। স্থানীয় মসজিদের ইমাম সিদ্দিক হোসেনের দাবি, তার মাধ্যমেই ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এই জাপানি।
মেয়র ঝন্টু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ফার্স্ট সেক্রেটারিকে তিনি বলেছেন- কুনিও মুসলমান হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ থাকলে তাকে সিটি করপোরেশনের কবরস্থানে দাফনে কোনো বাধা নেই।”
প্রশাসন থেকে তাকে এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি বলে জানান মেয়র।
এদিকে কুনিও নিহত হওয়ার পর রংপুর আসা জাপানের চার সদস্যের প্রতিনিধি দলটি দুপুরে রংপুরের পুলিশ সুপারের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন।
পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুপুর ১টার দিকে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তাদের বৈঠক শুরু হয়।
তবে, তাদের কী কথা হয়েছে তা তিনি তাৎক্ষণিকভাবে জানাননি।
গত ৩ অক্টোবর কাউনিয়া উপজেলার আলুটারি গ্রামে তার ঘাসের খামারের কাছে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন কুনিও। তার মরদেহ এখন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রয়েছে।
কুনিও হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিন আগে ঢাকায় একইভাবে খুন করা হয় ইতালীয় নাগরিক চেজারে তাভেল্লাকে। এসব হত্যাকাণ্ড নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা উঠলেও এখনও খুনিদের চিহ্নিত করা যায়নি।