বুধবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ ও বিজিবি জানিয়েছে।
আহতরা হলেন ভারতের কুচবিহারের দিনহাটা এলাকার জাকির হোসেন (৪৪) এবং বাংলাদেশের ভুরুঙ্গামারীর দক্ষিণ পাথরডুবি গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে নুর ইসলাম ওরফে গোদা মিয়া (৩৫)।
পুলিশ ও বিজিবি দুজনের আহতের খবর নিশ্চিত করলেও ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক বলে জানিয়েছে।
স্থানীয়দের বরত দিয়ে ভূরঙ্গামারী থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, বুধবার গভীর রাতে পাথরডুবি বিজিবি বিওপি থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে সীমান্ত পিলার ৯৬৪ এর ৫ সাব পিলারের পাশদিয়ে বিএসএফ জওয়ানরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে বাংলাদেশের ১০০ গজ অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে।
“তাদের গুলিতে জাকির হোসেন পিঠের ডান পাশে এবং নুর ইসলাম ওরফে গোদা মিয়া (৩৫) বাম উরুতে গুলিবিদ্ধ হন।”
ঘটনার পর থেকে তারা দুজন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আত্মগোপন করে আছেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে থানায় কোনো মামলা না হলেও তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানান।
পাথরডুবি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদৎ হোসেন ভোলা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
কুড়িগ্রাম ৪৫ বিজিপি ব্যাটালিয়নের পাথরডুবি বিওপি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার রফিক জানান, ভারতের ১০১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাহেবগঞ্জ বিওপি ক্যাম্পের জওয়ানরা গরু পাচারকারীদের ধাওয়া করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে।
রাত দেড়টার দিকে বিএসএফের গুলিতে দুই জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে একজন বাংলাদেশের ও অপরজন ভারতের গরু পাচারকারী ব্যবসায়ী বলে জানান তিনি।
গুলির ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফের কাছে বিজিবি পত্র দিয়েছে বলে তিনি জানান।
ঘটনার পর থেকে সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানান নায়েক রফিক।