বৃহস্পতিবার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, "ইতোমধ্যে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা এমন মানে পৌঁছেছে যে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও এর প্রশংসা হচ্ছে। যার স্বীকৃতিও দেশে-বিদেশে মিলছে।"
সম্প্রতি হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে দুই বাংলাদেশি বিচারকের স্থায়ী নিয়োগ পাওয়াকে এদেশের বিচার বিভাগের মানের বড় স্বীকৃতি বলে মন্তব্য করেন আনিসুল হক।
তিনি বলেন, "আমাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অভিজ্ঞতাও বিভিন্ন দেশ কাজে লাগাতে চায়।"
নির্বাহী বিভাগের মত বিচার বিভাগেও ‘ডিজিটালাইজেশন’ এর সুযোগ কাজে লাগানো চেষ্টা চলছে বলে জানান আইনমন্ত্রী।
জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য আট দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী জানান, বিচারকদের ওপর বিপুল সংখ্যক মামলার চাপ থাকার বিষয়ে সরকার অবগত।
“এই জন্য আমরা কিছু পুরনো আইন সংশোধন করছি, বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি করছি। অবকাঠামো উন্নয়নও করছি।
“যেখানে যেখানে ভবন নির্মাণে অনুমোদন ছিল, সেখানে আসবাবপত্রের কথা উল্লেখ ছিল না। আমি আলাদা অনুমোদন নিয়ে সব জায়গায়ই আসবাবপত্রের ব্যবস্থা করেছি।”
কর্মশালায় অংশ নেওয়া বিচারকদের উদ্দেশে আনিসুল বলেন, “আপনারা জেলা পর্যায়ে বিচার ব্যবস্থার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমরা চাই, মানসম্মত বিচার।”
বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি মূসা খালেদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক বক্তব্য দেন।