প্রসূতির মৃত্যু, বরিশাল মেডিকেলে পাল্টাপাল্টি হামলা

প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর স্বজন ও শিক্ষানবিস চিকিৎসকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।

বরিশাল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Oct 2015, 09:19 AM
Updated : 8 Oct 2015, 09:19 AM

বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনার পর জরুরি বিভাগে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত জরুরি সেবা বন্ধ থাকে।

শিক্ষানবিস চিকিৎসকরা রোগীর তিন স্বজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন।

এরা হলেন মৃত গৃহবধূর মা হাসিনা বেগম (৫২), ভাই মো. জাকারিয়া হাওলাদার (২৮) ও মো. মোস্তফা হাওলাদার (২২)।

বরিশাল মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ফাইজুল মোল্লার স্ত্রী রিনা বেগমকে (২০) গত ৬ অক্টোবর ভোরে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ভর্তি করা হয়।

“বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে তার মৃত্যু হলে অবহেলার অভিযোগ তুরে মৃতার স্বজনরা চিকিৎসকদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন।”

এ সময় স্বজনরা দুই শিক্ষানবিস চিকিৎসককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বলে জানান ওসি সাখাওয়াত।

ওসি আরও জানান, খবর পেয়ে আরও শিক্ষানবিস চিকিৎসক গিয়ে রোগীর দুই ভাই ও মাকে একটি কক্ষে আটকে রাখেন এবং হাসপাতালের জরুরি চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মামলা দায়ের প্রস্তুতি নেওয়ায় রোগীর তিন স্বজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

মৃত রোগীর ভাই মো. জাকারিয়া হাওলাদার জানান, গত ৪ অক্টোবর মঠবাড়িয়ায় একটি ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার বোনের সন্তান হয়।

“সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ৬ অক্টোবর তাকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শুরু থেকেই চিকিৎসকরা রোগীর তেমন কোনো খোঁজ খবর নেননি।”

বুধবার গভীর রাতে তার বোনের অবস্থার অবনতি হলেও কোনো চিকিৎসক খুজে পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি অভিযোগ করেন, সকালে বোনের মৃত্যুর পর চিকিৎসক আসলে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০/২৫ জন শিক্ষানবিস চিকিৎসক তাদের মারধর করে একটি কক্ষে আটকে রাখে।

এ ব্যাপারে শিক্ষানবিস চিকিৎসক মো. আসিফের দাবি, রোগীর স্বজনরা তাদের উপর হামলা চালিয়েছেন।

এতে শিক্ষানবিস চিকিৎসক ফাহাব মাহিয়ান, শিহাব উদ্দিন ও স্টাফ নার্স মমতাজ বেগম আহত হন বলে দাবি করেন তিনি।

গৃহবধূর মৃত্যুর ব্যাপারে তিনি বলেন, “অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এখানে চিকিৎসকদের কোনো অবহেলা ছিল না।”