পুলিশের আবেদনের শুনানি করে ঢাকার মহানগর হাকিম ইউসুফ হোসেন বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুর রহমান শাহাদাতকে সাত দিনের রিমান্ডে চেয়ে গত মঙ্গলবার আদালতে আবেদন করেছিলেন।
এ বিষয়ে শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার এই ক্রিকেটারকে আদালতে হাজির করার পর আদালত পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী কমিশনার মিরাশ উদ্দিন আদালতকে বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবং গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় কে কতটুকু দায়ী তা জানার জন্য আসামিকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
অন্যদিকে এর বিরোধিতা করে শাহাদাতের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী কাজী নজিবুল্যাহ হিরু।
শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে শাহাদাতকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে শাহাদাতের স্ত্রী জেসমিন আক্তার নিত্যও বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
গত ৬ সেপ্টেম্বর গৃহকর্মী হারিয়ে গেছে জানিয়ে শাহাদাত থানায় সাধারণ ডায়েরি করার কয়েক ঘণ্টা পর ওই শিশুকে পাওয়া যায়।
পল্লবীর সাংবাদিক কলোনি থেকে ১১ বছর বয়সী ওই শিশুকে পেয়ে তাকে থানায় নিয়ে যান খন্দকার মোজাম্মেল হক নামের এক সাংবাদিক।
পরে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়। সাংবাদিকদের কাছে শাহাদাতের বাসায় নির্যাতিত হওয়ার বিবরণ দেয় শিশুটি।
সাংবাদিক মোজাম্মেল এ ঘটনায় মামলা করলে নিরুদ্দেশ হন জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার ও তার স্ত্রী।
গত ৪ অক্টোবর ভোররাতে ঢাকার মালিবাগের একটি বাসা থেকে শাহাদাতের স্ত্রী জেসমিন আক্তার নিত্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন শাহাদাত আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ওই শিশু গৃহকর্মী আদালতে জবানবন্দিতে নির্যাতনের যে বর্ণনা দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, শাহাদাত রুটি বানানোর বেলন দিয়ে তাকে পিটিয়ে পরে আবার আঘাতের স্থানে বরফ লাগাতেন। চোখের উপর অংশে বেশ কয়েকবার বেলন দিয়ে পেটানো হয়েছে বলেও আদালতকে জানিয়েছে মেয়েটি।