বুধবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে তারা এই দাবি জানান।
‘ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সর্বস্তরের চিকিৎসকবৃন্দ’ ব্যানারে মানববন্ধনে নতুন পে-স্কেল পুনর্নির্ধারণ করে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের জন্য সিলেকশনগ্রেড পুনর্বহাল এবং চিকিৎসকদের জন্য সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পুনর্বহালসহ স্বতন্ত্র পে-স্কেল প্রণয়নের দাবি জানানো হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার (মেডিসিন) ডা. ইমরান মাহমুদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবু ইউসুফ ফকির, সহযোগী অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম, ঢাকা মেডিকেলের রেজিস্ট্রার মুস্তাফিজুর রহমান রিজভী, ডা. ফজলে রাব্বি, ডা. সেলিম মোর্শেদ, ডা. মোমেন খান, ডা. আমিনুল ইসলাম, ডা. সোলায়মান, ডা. ফজলে রাব্বি, ডা. মইনুল মুরাদ, ডা. আজিজ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) যুগ্ম মহাসচিব ও বিএমএ’র কেন্দ্রীয় নেতা ডা. জামান উদ্দিন চৌধুরী চিকিৎসকদের কর্মসূচিতে এসে সংহতি প্রকাশ করেন।
বক্তারা বলেন, মেডিকেলের অধ্যাপকরা তৃতীয় গ্রেডে বেতন পান। আগে সিলেকশনগ্রেড পেয়ে তারা দ্বিতীয় গ্রেডে আসতেন। নতুন পে-স্কেলে সিলেকশন গ্রেড রাখা হয়নি। ফলে চিকিৎসকদের থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (দ্বিতীয় গ্রেডের) হওয়ার পথ বন্ধ হয়েছে।
তাই অধ্যাপকদের জন্য সিলেকশনগ্রেড এবং স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্য সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পুনর্বহালের দাবি জানান তারা।
এছাড়া স্বাস্থ্য ক্যাডারে চাকরিতে বয়স অনুযায়ী অন্যান্য ক্যাডারের ন্যায় নতুন পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতির ব্যবস্থা, সব ক্যাডারকে পদোন্নতির ক্ষেত্রে সমান সুযোগ দান এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বেতন বিলে ইউএনওর স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত বাতিল করার দাবি জানান চিকিৎসকরা।
ডা. সোলায়মান বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ও বিদেশে যেসব পুরস্কার পাচ্ছেন তাতে আমাদের অবদান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উপর আমাদের যথেষ্ট আস্থা ও ভরসা রয়েছে। কিন্তু আমাদের ব্যাপারে তাকে ভুল বোঝানো হয়েছে, যার কারণেই বেতন স্কেলে আমরা বৈষম্যের শিকার হয়েছি।”
ডা. তন্ময় বলেন, “আমাদের নীতিনির্ধারক যেন আমাদের লোক হয় এটাই আমরা চাচ্ছি। তাহলে তারা আমাদের সুবিধা-অসুবিধা বুঝবে। এজন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শীর্ষ পর্যায়ে যেন আমাদের নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের লোকজনদেরই নিয়োগ দেওয়া হয়।”