বুধবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত সুপার মাহাবুবুল করিম, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার এএফএফ নেজাম উদ্দিন আগামী ১২ অক্টোবর সৌদি আরব যাচ্ছেন।
গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে খুঁটিতে বেঁধে ১৩ বছরের রাজনকে পিটিয়ে হত্যার পর বিদেশে পালিয়ে যান কামরুল। তিনি মধ্যপ্রাচ্যের ওই দেশটিতে থাকেন।
রাজনকে নির্যাতনের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার পর সারাদেশে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। তখন প্রবাসীদের সহায়তায় কামরুলকে আটক করে সৌদি পুলিশের হাতে তুলে দেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
এরপর কামরুলকে ফেরাতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ পুলিশ, জারি করা হয় রেড নোটিস।
পুলিশ সদর দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যম হয়ে বন্দি বিনিময়ের জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি কর্তৃপক্ষ আসামি কামরুলকে ফেরত দিতে সম্মত হয়েছে।
ওই দিন শিশু রাজনকে পেটানোয় কামরুলই বেশি সক্রিয় ছিল বলে ওই ঘটনার ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়।
রাজন হত্যাকাণ্ডের বিচার ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে সিলেটের আদালতে। বুধবারও এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলে।
ঘটনার দেড় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে গত ১৬ অগাস্ট ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার। এরপর ২২ সেপ্টেম্বর বিচার শুরু হয়।
আসামিদের মধ্যে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পলাতকদের মধ্যে কামরুলের ভাই সদর উপজেলার শেখপাড়ার বাসিন্দা শামীম আহমদের সঙ্গে পাভেল আহমদ নামে আরেকজন রয়েছেন। কামরুলের আরেক ভাই এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
পলাতক কামরুল,শামীম ও পাভেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়েছে।